রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫,
২২ আষাঢ় ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
বিশেষ সংবাদ
ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান
সাবধান! ঢাকা.বরিশাল ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু ভয়াবহতা বাড়ছে
আবুল কাশেম:
Publish: Saturday, 5 July, 2025, 8:26 PM  (ভিজিট : 92)

সাবধান! রাজধানী ঢাকা, বরিশাল রাজশাহী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এডিস মশার জীবানুবাহী ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা বেড়েই চলছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর ভর্তিও সংখ্যা বেড়েই চলছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সুস্থতার চেয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। একই সাথে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। আজ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ হাজার ৯৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছে ৪৫ জন, এদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী।

আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।  এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ১২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৭৯ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন ও ঢাকা বিভাগে ২৩ জন ভর্তি হয়েছে। 
সূত্রমতে, এবছর কোরবানীর ঈদে টানা ১১/১২ দিন সরকারি ছুটি থাকায় মশক নিধন কার্যক্রম সিটি করপোরেশন এবং পৌর সভায় বন্ধ থাকে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে অসযোগ আন্দোলনকারীরা নগর ভবননে টানা ৪৩ দিন তালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রাখে।

 যারফলে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুসহ সবধরনের মশর উৎপাত বেড়েছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে চলতি বর্ষমৌসুমে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং রোধের তাপে এডিস মশার প্রজননস্থল, স্বচ্ছ জমা পানিতে বেশি ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু রোগে এডিস মশা বাড়ির ছাদ, বেজমেন্ট, বারান্দা, আঙিনা, বাথরুম, রান্নাঘর কিংবা আশপাশে, ফুলের টব, বালতি, কৌটা, পানির ড্রাম কিংবা পরিত্যক্ত পাত্রে বৃষ্টির জমা পানিতে ডিম পাড়ে। 

এছাড়াও খোলা জায়গায়, রাস্তার পাশে, নির্মাণাধীন ভবন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর চত্বরে জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। এই পরিস্থিতিতে নগরবাসীল উচিত নিজেদের বাসা বাড়ির আশপাশের আর্বজনা দ্রুত পরিস্কারে উদ্যোগ নেওয়া। কারণ সিটি করপোরেশন এবং পৌর সভার লোকজনের দিকে তাকিয়ে থাকলে এডিস মশা আক্রমণের সুযোগ বেশি পাবে। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকে দায়িত্ব পালন করা উচিত। বিশেষ করে বাড়ির ছাদ বা আঙিনায় রাখা ফুলের টব, বালতি, কৌটা, পানির ড্রাম কিংবা পরিত্যক্ত পাত্রে বৃষ্টির পানি জমা হতে না দেওয়া। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি:
এদিকে দেরিতে হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজধানীর পুরান ঢাকায় সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ শনিবার  ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এই বিশেষ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ডিএসসিসি অঞ্চল-০৪ এর তত্ত্বাবধানে শনিবার  সকাল ৬ টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ৬শতাধিক কর্মী  এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

 পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির অঞ্চল-০৪ ভুক্ত ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ ব্যতিত বিশাল জনসংখ্যার এই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, অন্তত নিজের আঙিনা নিজে পরিষ্কার করি তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।” সরকার ‘ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অনান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫’ প্রণয়ন করছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্দেশিকায় সরকারের এবং নাগরিকদের দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক  মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের এটি আমাদের চতুর্থ পর্ব। বিশেষ এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।” বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, এডাল্টিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত প্রতিটি ফগার মেশিন প্রতি কীটনাশক ৩০ লিটার থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি করে ৬০ লিটার করা হয়েছে। এছাড়া, মশার ওষুধ ছিটানো নিশ্চিতকরণে অঞ্চলভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। 

ঢাকা উত্তর সিটি :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য চিহ্নিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডসমূহে “অপারেশন ক্লিন টুডেঃ সেফ টুমোরো” সমন্বিত মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেছে। গত গত ০২ জুলাই থেকে টানা ৩দিন মিরপুর-১, পাইকপাড়া সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্টাফ কোয়ার্টারে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগের উদ্যোগে  এই অভিযান চলে। এই ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ডিএনসিসিতে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানান প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

তিনি  বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সবার সচেতনতায়, সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন করা সহজ হবে। একই সাথে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এডিস মশার উৎপত্তি স্থলের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে,  যেন তারা তাদের বাসাবাড়ির আশেপাশে পরিতেক্ত পাত্রে পানি জমে থাকতে না দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর এর জুন ২০২৫ এর প্রতিবেদনে ওয়ার্ড নং ০২, ০৮, ১২, ১৩, ২২ ও ৩৪-এ এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়ায় এসব এলাকাকে ডেঙ্গু আক্রান্তের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কীটতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৬টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভার ঘনত্ব বেশি পাওয়া গেছে। সেইসব ওয়ার্ডগুলোতে সমন্বিত ভাবে লার্ভা ও উড়ন্ত মশা নিধনে আজ থেকে একযোগে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।এ প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, সিডিসি ও ডিএনসিসি’র কীটতত্ত্ববিদ, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উক্ত অভিযানের আওতায় এডিস মশার প্রজননস্থল অপসারণ, লার্ভিসাইডিং ও ফগিং, জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববি. অধ্যাপক কবিরুল বাশার:

এদিকে অধ্যাপক কবিরুল বাশার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাশার দীর্ঘদিনের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে বেশ কিছু গুরুত্নপূর্ণ বিষয় প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণা উঠে এসেছে, এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া আমাদের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে প্রতিবছরই দেশে কমবেশি ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী। ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশা সম্পর্কে দেশের সরকার ও মানুষ এখন অনেকটাই জানেন। রোগটি কীভাবে ছড়ায়, কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়,এসব তথ্যও আমাদের জানা।

 এমনকি সরকার, সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগ নানা উদ্যোগও নিয়েছে।তবু প্রশ্ন থেকে যায়, সবকিছু জানার পরও আমরা কেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি বারবার? এ ব্যর্থতার পেছনে কোথায় ঘাটতি, কাদের দায় আর কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এই ঘূর্ণিচক্র—এখন সময় এসেছে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, এ বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ।

এডিস মশা সাধারণত সকালে ও বিকেলে বেশি কামড়ায়, তবে দিনে বা রাতে যেকোনো সময়ে এরা কামড়াতে পারে। এসব মশা জমে থাকা স্বচ্ছ বা অস্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে ও এদের জীবনচক্র সম্পন্ন করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্দেশক ‘ব্রেটো ইনডেক্স’ ২০-এর ওপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি এই সূচক ২০ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সেই এলাকায় ডেঙ্গুর মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অত্যন্ত বেশি।

বর্তমানে বরিশাল বিভাগ, বিশেষ করে বরগুনা ও বরিশাল জেলার অবস্থা অত্যন্ত ‘বিপজ্জনক’। আমাদের গবেষণা ফোরকাস্টিং মডেলের ভিত্তিতে বলা যায়, আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক রূপ নিতে পারে। মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পাওয়া এ প্রবণতার ভয়াবহতা নির্দেশ করে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ডেঙ্গু প্রবৃদ্ধি জ্যামিতিক হারে বাড়বে, যা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। 

ডেঙ্গুর হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেই বাড়িকে কেন্দ্র করে অন্তত ২০০ মিটারের মধ্যে ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো এবং লার্ভা সার্ভে চালানো আবশ্যক। কারণ, আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে উড়ন্ত এডিস মশা বেঁচে থাকলে এরা সহজেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
 
স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। পাশাপাশি, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কীটতত্ত্ববিদ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে হবে। কারণ, ডেঙ্গু কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় সংকট, যার সমাধান একমাত্র সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়েই সম্ভব।

আ.দৈ./কাশেম

আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ইবিতে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার কার্যকারিতা মূল্যায়ন শীর্ষক পিএইচডি সেমিনার
সাবধান! ঢাকা.বরিশাল ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু ভয়াবহতা বাড়ছে
ঢাকা বিভাগে ৫৬ সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা খেলাফত মজলিসের
মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারায় আফসোস আসিফ মাহমুদের
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএনসিসিতে পুনরায় নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে
ইবিতে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান
কুমিল্লায় বাড়ি ঘেরাও করে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
পিএসটিসি-র ৪৭ বছর পূর্তি উদযাপন
৭১’র মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই ২৪’র বীর শহিদদেরও জাতি ভুলবে না: তারেক রহমান
বিশেষ সংবাদ- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝