ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) পুনরায় নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে নগরবাসীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য, সমতা ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে আজ থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০১ জুন) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ জোবায়ের হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্টের (২য় পর্যায়) মাধ্যমে ডিএনসিসিতে পরিচালিত হয়ে আসছিল নগর মাতৃসদন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং স্যাটেলাইট কেন্দ্রসমূহ। প্রকল্পটির আওতায় ২১টি ওয়ার্ডে ৬টি নগর মাতৃসদন, ৩০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ৬০টি স্যাটেলাইট কেন্দ্রের মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হতো।
এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়ায়, ১ জুলাই ২০২৫ থেকে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরাসরি ডিএনসিসির তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো এখন আরও টেকসই, স্বচ্ছ, এবং নাগরিকদের কাছে অধিকতর সহজলভ্য হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ডিএনসিসি মনে করে, স্বাস্থ্যসেবা নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার এই নবযাত্রায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ও অংশীজনদের সহযোগিতায় সেবা প্রদানে কোনো ঘাটতি রাখা হবে না।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা হলো—যেখানে নগরবাসী, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পাবেন গুণগত স্বাস্থ্যসেবা একেবারে হাতের নাগালে।
আ. দৈ./ কাশেম