ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) এলাকায় বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে ড্র্পোিএসসিসির পক্ষে সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের পক্ষে ঢাকা সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। আগামী অর্থবছরে বৃক্ষরোপন খাতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান, ড্নিএসসিসির সংযোগ কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রহমান । তিনি আরো জানান,ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ, শব্দদূষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ তথা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ল্যান্ডস্কেপ উন্নয়ন ও জলাবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমণে বনায়ন ও সবুজায়নসহ সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচিত জায়গায় কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগর বনায়ন কার্যক্রমে বন অধিদপ্তর কারিগরী পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
এছাড়া, বন অধিদপ্তর বনায়ন পরিচালনা ও তদারকি ম্যানুয়াল প্রস্তুত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে সরবরাহ করবে। চুক্তি আনুযায়ী বনায়ন পরবর্তী পরিচর্যা ও সুরক্ষায় স্থানীয় কমিঊনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৮১.১০ কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৩৫ টি মিডিয়ানের মধ্যে প্রায় ১৬. কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ০৬ টি মিডিয়ানে ঘাস ও গাছ রোপণ করা হবে।
আনুস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক বলেন, “১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন ও জনসংখ্যার চাপে আজ ঢাকা শহর থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে গিয়েছে। আমরা যদি এখনই কার্যকর ববস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে।” ঢাকা শহরকে বাঁচাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি পরিকল্পিত বনায়ন ও সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন। এছাড়া, আজকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য তিনি বন অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের সামাজিক বনায়ন শাখার উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ড. মোঃ জগলুল হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আ. দৈ./ কাশেম