বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের পর গঠিত পরবর্তী সরকারের অংশ হওয়ার কোনো আগ্রহ তার নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাদের কাজ হলো সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যা নির্বাচন দ্বারা সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নির্বাচনটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আজ বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের চ্যাথাম হাউজে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে বক্তব্য প্রদানের পর এক প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বিষয়ে তিনি বলেন, কোনোভাবেই না, একেবারেই না। আমি মনে করি, আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্য সেটা করতে আগ্রহী হবেন না। খবর বাসস ।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, অধ্যাপক ইউনূস কি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পরবর্তী সরকারের অংশ হতে আগ্রহী বা সে ধরনের অবস্থানে রয়েছেন কি-না। উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস সাফ জানিয়ে দেন, তাদের দায়িত্ব হলো— যে রূপান্তর চলছে সেটা ঠিকমতো শেষ করা এবং যখন তারা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন, তখন জনগণ যেন সন্তুষ্ট থাকে।
প্রসঙ্গত, চার দিনের সরকারি সফরে ১০ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক সফর সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টাকে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ইউনূসকে রাজা তৃতীয় চার্লস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত করেছেন। জনগণ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্প্রীতি প্রচারে তাঁর আজীবন কাজের সম্মানার্থে তাঁকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
আ. দৈ. / কাশেম