সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুবলীগের আলোচিত সাবেক নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার ১০ বছরের সাজা বাতিল করে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে এই রায় দেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর ফলে, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার একটি আদালত কর্তৃক দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায় কার্যকারিতা হারাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে শামীম হাইকোর্টে আপিল করেন, যা আজ মঞ্জুর হয়।
জি কে শামীম প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, যখন তাকে রাজধানীর নিকেতনের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তখন তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং অর্থপাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, অস্ত্র ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
পরে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই বছরের ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর ২০২৩ সালে বিচারিক আদালত শামীমসহ সবাইকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
তবে উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে জি কে শামীমের সাজা বাতিল হলো এবং মামলায় তিনি খালাসপ্রাপ্ত হলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।