ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছর জনগণের ওপর জুলুম, নির্যাতন, বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় জড়িতে কারাবন্দি করা,পরিকল্পিতভাবে হত্যা, খুন, আয়নাঘরে আটকে রাখা,ব্যাপরোয়া চাঁদাবাজি, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাঁচার ও আওয়ামী সন্ত্রাসে দেশের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আর এসব অপকর্মে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তা।
অবশেষে গত বছর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সাথে তার সরকারের পতন হয়। অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক পুলিশের ৪০ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পলাতক ৪০ পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা। তাদেরকে দেওয়া আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের ‘বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) ও পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ) পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি জারির তারিখ হিসেবে ৭ আগস্ট উল্লেখ করা হলেও ১০ আগস্ট গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও পুলিশ পরিদর্শক রয়েছেন। তারা সবাই পলাতক ও সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৪০ কর্মকর্তার ২০১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২ সালে প্রদান করা পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হলো। এতে আরও বলা হয়, পদক প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের অনুকূলে পদক সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধাদি বন্ধ করা হলো এবং ইতঃপূর্বে পদক সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে নিজ কর্মস্থল হতে পলায়ন করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এরূপ ৪০ জন পুলিশ সদস্যের অনুকূলে প্রদত্ত পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হলো।
আ. দৈ./কাশেম