রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সম্পত্তি আত্মসাতসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেগুনবাগচায়স্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এইঅভিযান পরিচালনা করেন।
গণমাধ্যমকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম অভিযানকালে অভিযোগে সত্যতা পেয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি একটি নিবন্ধিত, অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, যা সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন নং-২১৯/১৯৬২ অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি পরিচালনা করে কার্যকরী পরিষদ, যার সভাপতির পদে নবাব পরিবারের একজন বংশধর থাকেন। বর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদ না থাকায় ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি পরবর্তীতে পদত্যাগ করেন। এরপর মার্চ ২০২৫-এ নতুন একজন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
এ অবস্থায়, নবাব বংশের দাবিদার খাজা আলী মাদানির নেতৃত্বে গঠিত ৭ সদস্যের একটি কমিটি নতুনভাবে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম অরফানেজ সোসাইটি নামে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে নিবন্ধন পায়। একই প্রতিষ্ঠান সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত ও প্রশাসক নিয়োগপ্রাপ্ত থাকা সত্ত্বেও নতুন নিবন্ধন প্রদান বিষয়ে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে মর্মে টিম জানতে পারে। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি সংগ্রহ করে দুদক টিম। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ যাচাইসাপেক্ষে কমিশনে একটি পূর্ণাঙ্গ এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আ. দৈ. /কাশেম