ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর ইয়াবা সম্রাজ্ঞী সাথী আক্তার রিক্তা। উদ্ধার হয়েছে ইয়াবার এক বিশাল মজুদ। রাজধানীর মিরপুরে ফ্ল্যাট নিয়ে খুলে বসেছিলো ইয়াবার আড়ত। সেই আড়তে হানা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা উদ্ধার করেছেন ৩৪ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা। রিক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেয়িয়ে আসছে ভয়ঙ্কও সব তথ্য।
ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) এর উপপরিচালক মোঃ মানজুরুল ইসলাম জানান এই চালান ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেত। তাদের কর্মকর্তারা আরও কিছু মাদক সম্রাটকে টার্গেট করে অভিযান চালাচ্ছেন। ডিএনসি নব উদ্যমে নড়চড়ে উঠেছে।
সূত্র জানায় মিরপুর- ১১ থেকে এক কোটি দুই লাখ টাকা মূল্যের এই বৃহৎ চালানটি আটক করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এর নেতৃত্বে মতিঝিল সার্কেলের পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের টিম গত মঙ্গলবার এই মরণ নেশার চালানটি আটক করতে সক্ষম হয়।
সাথী আক্তার রিক্তার বয়স ২৮ বছর। তাকে দেখে কারও মনে হবেনা সে এমন ভয়ঙ্কর পেশায় লিপ্ত। তার স্বামীর নাম সানজিদ হোসেন। লালবাগের ২০/৩ হাজী রহিম বক্স লেনে তাদের বাসা। পল্লবী থানাধীন মিরপুর- ১১, এভিনিউ- ০৫ এর ১৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে থেকে তারা এই কর্মকান্ড পরিচালনা করত। সানজিদ হোসেন (৩৮) পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এদের পেছনে রয়েছে আরও গডফাদার । তাদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে। অচিরেই আরও সুখবর মিলবে বলে জানান সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ।
পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান এই ইয়াবা দম্পতির হাত ছিল মাদক চোরা চালানের বড় রুট টেকনাফ পর্যন্ত। ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় প্রবেশ করবে এই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটিকে রেকি করা হয়।
অবশেষে ওই বাড়ির ৭ম তলার আস্তানায় হানা দিয়ে ৩৪,২০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সাথীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট বাসায় মাদক বাণিজ্য করে আসছিল। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সানজিদ প্রায়ই টেকনাফে গিয়ে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসত। ঢাকা ও আশে পাশের এলাকায় পাইকারী সরবরাহ করে আসছিল তারা। এই দম্পতির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে।