গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিশেষ বরাদ্দের ৭৭টি প্রকল্পের প্রায় ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপালগঞ্জ জেলা দুদক কার্যালয় থেকে ২০ মার্চ এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন । মোট ২০৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দকৃত প্রকল্পসমূহের মধ্যে ৫টি প্রকল্পের সরেজমিন পরিদর্শনে অনিয়ম ও জালিয়াতির নিম্নরূপ প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, (১) ২৬.৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তর আটাশীবাড়ী কবরস্থানের মাঠ ভরাট প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিবর্তে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি সরকারি অর্থে ভরাট করা হয়েছে।
(২) ২৬.৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তর আটাশীবাড়ী হেফজোখানার সামনের মাঠ ভরাট প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সেখানে কোনো হেফজোখানা নেই এরুপ প্রত্যক্ষ করে দুদক টিম, বরং সেখানেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করা হয়েছে;।
(৩) ৩৯.১৬ লাখ টাকা বরাদ্দপ্রাপ্ত ডগলাস মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে মাঠ ভরাট প্রকল্পে সামান্য মাটি ভরাট করে বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
(৪) ৪৯.২৩ লাখ টাকা বরাদ্দের গাবভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট প্রকল্পের কাজ আংশিকভাবে সম্পন্ন করে অধিকাংশ অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য ও পরিদর্শনে প্রতীয়মান হয়েছে;।
(৫) ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দের শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের মাঠ ও পুকুরপাড় ভরাট প্রকল্পে সামান্য পরিমাণ মাটি ফেলে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সার্বিক বিবেচনায়, এ এনফোর্সমেন্ট অভিযানে সরকারি তহবিল ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ টিম কমিশনের নিকট পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।
আ. দৈ. / কাশেম