চট্টগ্রাম হাটহাজারী মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আফজাল খান ও এস আই শফিউলের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিবাদী জামাল উদ্দিন জানান, গত পহেলা মার্চ মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই শফিউলসহ ৪-৫ পুলিশ ভিকটিমকে (জামাল) বিনা ওয়ারেন্ট এ আটক করে নিয়ে যায়। বিনা ওয়ারেন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপরাদ কাউকে এভাবে আটক করতে পারে কিনা এই প্রশ্ন করায় এস আই শফিউল অকথ্য ভাষা তাকে গালিগালাজ করেন এবং মারধর করেন।
জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এস আই শফিউল হুমকির দিয়ে বলেন,তোমাকে এমন মামলা দিবো যে ১২ থেকে ১৫ বছরের জেলে থাকতে হবে। এরপর ওই পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে জামালকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে আটকের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পুলিশ সদস্যরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
জামালের পরিবারের সদস্যদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। এখানেই শেষ নয়, একপর্যায়ে এস আই শফিউল নির্লজ্জের মতো প্রকাশে জামাল ও তার স্ত্রীর কাছে নগদ ২ লাখ টাকা দাবী করেন। আর এই টাকা না দিলে ভয়ঙ্কর এক মামলা ও চালান দেয়া হবে। তখন টেরপাবেন মামলা কি জিনিস।
নিরুপায় হয়ে জামাল আত্মীয়দের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এস আই শফিউলকে দেন। এরপরে জামালের কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে মুচলেকা আদায় করে এস আই শফিউল।
কনস্টেবল মিনাজ, কনস্টেবল শহিদুল আমাকে ও আমার পরিবারকে এই বিষয়ে মুখ খুললেই আমার চাকুরী খাওয়া, আইসিটি এক্টএ মামলার হুমকি দেয় বলে জানান, বিবাদী জামাল উদ্দিন। বাদী রুনকিন নাহার রুনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে, বিবাদীকে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাদী আমার পূর্ব পরিচিত। তার কাছে আমি আমি আমার পাওনা টাকা চাওয়াতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করতে তদন্ত কেন্দ্রে এই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে পুলিশ এভাবে সন্মানহানি করতে পারে না।
থানায় ডেকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে পারে। তা না করে টাকা আদায়, শারীরিক নির্যাতন ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে।এই বিষয়ে এস আই শফিউলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করেছি। ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে আটক করা যায় কি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আটক না, তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসি। জিজ্ঞেসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছি। টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন শফিউল। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। প্রমাণিত হলে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০ মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com