২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী দক্ষিণ বঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর ১৪ বছরেও ভয়াবহ সংকটে জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ।
অপর্যাপ্ত পরিবহন,আবাসন ও শ্রেণিকক্ষ সংকট।ইটের সলিং দিয়ে তৈরিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরিন রাস্তা। বর্ষা এলেই স্যাতসেতে হয়ে যায়।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র ৩৬ টি ক্লাস রুম।
এছাড়াও সেশনজটে আটকা পড়ে হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা গিয়েছে নিউমোনিয়ার মতো জ্বরজনিত রোগের জন্য নাপা ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই নেই।আবাসন সংকটের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের থাকতে হয় বাহিরে।এছাড়াও একাডেমিক ভবনের অপ্রতুলতা গত ১৪ বছর ধরে ভোগাচ্ছে শিক্ষার্থীদের।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন গুলো শুধু মাত্র একটি রুটে চলাচল করার কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
লাইব্রেরিতে নেই পর্যাপ্ত বই।এছাড়াও রয়েছে শিক্ষক সংকট।যার ফলে একডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্ববিদ্যালটির অগ্রগতি না হওয়ার জন্য প্রশাসনিক দুর্বল কাঠামোকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।ছয়মাসে প্রক্টর পরিবর্তন হয়েছে তিনবার।শিক্ষার্থীদের দাবি ক্লাসরুম ও আবাসিক সংকট নিরসনে বাজেট আনতে ব্যর্থ বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড.শুচিতা শরমিন।
গত ৪ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল পরিবেশ।প্রো ভিসি ও ভিসির মধ্যকার অভ্যন্তরিন কোন্দল রুপ নিয়েছে ভয়াবহ আকারে।এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন শিক্ষকদের দুই গ্রুপ। গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ২২ দফা ও ৯ দফা দাবি দিয়ে থাকলেও শিক্ষার্থীদের কথার কর্নপাত করছেন না ভিসি শুচিতা শরমিন এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।
১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভিসি শুচিতা শরমিন এসব বিষয়ে বলেন":বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বছরপূর্ন্য হলে এখন পর্যম্ত অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমরা দেখতে পায়নি, আমি সেটার জন্য কাজ করছি।কারন আমি জানি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নাম্বার সমস্যা অবকাঠামোগত সমস্যা।"
আ. দৈ. /কাশেম/ জীবন