সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা,দুুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে প্রায় ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন বিদেশে পাচারের অভিযোগ মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২ ও ৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান মামলায় অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ তার অপরাধলব্ধ ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার পাচার করেছেন। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বেনজির আহমেদ ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, নগদে উত্তোলিত অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার বা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বেনজীর আহমেদ।
আসামিরা ২০২৪ সালে বিভিন্ন সময় তাদের নামীয় দীর্ঘদিনের এফডিআর হিসাব মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই একযোগে নগদায়ন করে উত্তোলন করেছেন। এ এফডিআরের অর্থের গ্রহণযোগ্য কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। যা বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এ অর্থ উত্তোলনের পর কোথাও বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুদক বলছে, আসামিরা অর্থ উত্তোলনের পরই বিদেশে চলে যান। ফলে নগদ উত্তোলন করা অপরাধলব্ধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার নিমিত্ত স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ৭৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
আ. দৈনিক/ কাশেম