মো. আব্দুল হাসেম ওরফে হাসু মিয়া। পেশায় একজন রিকশাচালক। রিকশা চালিয়েই সংসারের খরচ মেটান তিনি।
রিকশা চালানোর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের মেস- নেক্সাসে ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাজার, সদাই আনা-নেয়া করেন। তাছাড়া রাতের বেলা প্রায়ই হলের মসজিদে থাকেন তিনি। যার কারণে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ অন্যদের সাথে তাঁর এক আত্মিক সম্পর্ক।
গত রোববার (১ ডিসেম্বর) হল গেটে রিকশা রেখে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান। ফিরে এসে দেখেন, তাঁর আয়ের একমাত্র অবলম্বন সেই রিকশাটি আর নেই। সেটি কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। স্ত্রী এবং চার কন্যাসহ ৬ সদস্যের পরিবার পুরোপুরি নির্ভরশীল হাসু মিয়ার আয়ের উপর। ফলে রিকশাটি হারিয়ে এক প্রকার ভেঙে পড়েন তিনি। ভবিষ্যতে উপার্জনের আশঙ্কায় মানবেতর জীবনযাপন শুরু করেন৷
তাঁর বিষয়টি সূর্যসেন হল জাতীয়তাবাদী পরিবারের সাবেকদের নজরে আসে। পরে হল ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট শামীম আক্তার শুভ এবং হান্নান তালুকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হল ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ হাসু মিয়াকে একটি রিকশা উপহার দেন।
এই কাজে সহযোগিতা করেছেন মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রান্ত, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু, অর্থ সম্পাদক শিপন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক হাবিব আহমেদ লিওন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সামিউল আমিন গালিব, কর্মী শাকিল আহাম্মেদ, লিমন মেজর, রিমন, কবিরসহ হলের অন্যান্য শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের অর্থ সম্পাদক শিপন এ প্রতিবেদককে বলেন, যে কোন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রদল সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। এছাড়াও হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেকোনো সমস্যায় হল ছাত্রদল পাশে থাকবে।
আ.দৈ/এআর