বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমিকের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ইসলামী শ্রমনীতির বিকল্প নেই । তিনি বলেছেন, শ্রমিকরা হলো উন্নয়নের কারিগর। আর এই উন্নয়নের কারিগরদের নির্যাতন জুলুমকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ শ্রমিকদের অধিকার ও বিপ্লবকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে দুপুর ১২টায় উপজেলা ফার্নিচারশ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যদের কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সাড়ে ১৫ বছর আমরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের অনেক ভাইকে হারিয়েছি। অনেক ভাই শহীদ হয়েছে। অনেকে হাত-পা হারিয়েছে। এই রক্তস্নাত আন্দোলনের পরেও আমাদের সফলতা আসে নাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার আমরা দেখতে চায়।
শামসুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকের ৩২টি সেক্টরের মধ্যে আমরা ১৭টা সেক্টরে ভাগ করেছি। তারমধ্যে ফার্নিচার একটি। এখানে রিকশাশ্রমিক, হোটেল শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের আওতায় এনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের পার্লামেন্ট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ছাড়া দেশ চলতে পারে না। শ্রমিকদের শোষণ আর বৈষম্য নয়। শহর-গ্রামের মানুষদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ, বিনামূল্যে চিকিৎসা বাসস্থান ও সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রণয়নের দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি সরওয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির নুর আহমেদ আনোয়ারী, সাবেক কক্সবাজার জেলা বারের সভাপতি এ কে এম শাহজালাল চৌধুরী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চট্রগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি শামশুল আলম বাহাদুর, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল ফজল, কক্সবাজার জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মুহসিন, উখিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মুহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জিসান প্রমুখ।
শামসুল ইসলাম আরো বলেন, শ্রমিকদের ছুটি দেয় না বিশ্রাম দেয় না, হঠাৎ করে ছাটায় করে দেয়। এ রকম শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার। যদি এই নির্যাতন থেকে বাঁচতে হয় তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের ওপরে শোষণ-নির্যাতন বেড়েই চলছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। অথচ ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে এবং কাজের ক্ষেত্রে নির্যাতন বন্ধ হয়নি। কোরআনের আইন চালু হলে সকল প্রকারের বৈষম্য দূরিভূত হয়ে একটি শান্তির বাংলাদেশ আমরা ফিরে পাব।
আ. দৈ. /কাশেম