বিল্ডিংয়ের দোতলায় অতিরিক্ত ছাদ নির্মাণ নিয়ে দুই মহল্লার সংঘর্ষে আগুনে পুড়ে নি:স্ব হলেন এক মুদি ব্যবসায়ী। সংঘর্ষের ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত ৪০জন আহত এবং মুদির দোকান, একটি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে ফাহিম, সেন্টু ও সোহানসহ অন্তত ৪০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পিছনে ৩০০ মিটারের মধ্য এমন ঘটনা ঘটায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে থানা রোড এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন এর বিল্ডিংয়ের দোতলায় অতিরিক্ত ছাদ বৃদ্ধি করতে থাকে। অতিরিক্ত ছাদ বৃদ্ধিতে স্থানীয় শামছুল হক পুত্র মানিক, মজনু বাঁধা প্রদান করেন। এতে জাহাঙ্গীর ছাদ বৃদ্ধি করতে থাকে। মানিক, মজনু ছাদের কাঝে বাঁধা দিতে থানা রোডের বেশ কিছু যুবককে ডেকে নিয়ে আসে। এতেই ভাসানী রোডের যুবকদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে দুমহল্লার মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হয়। সংবাদ পেয়ে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানো চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে একটি ইটের বড় টুকরো বাচ্চুর বুকের ডান পাশে লাগে।
এতে সে গুরুত্বর আহত হয়। বিকেল ৪টার দিকে উভয় মহল্লার সংঘর্ষে থানা রোডের মৃত হাজারী এর পুত্র মো: রমজান আলী (৪০) মুদির দোকান ও বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে মুদি দোকানের মালামাল ক্যাশের টাকা, ফ্রিজ, আসবাবপত্র সহ সকল কাঁচামাল ও বসতবাড়ির ৩টি রুম, বারান্দা, বাড়ির দলিল, গয়না, ছেলে মেয়েদের শিক্ষাগত কাগজপত্র সহ রুমের যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুদির দোকান ও বসতবাড়িতে আগুনে লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ আনে।
নি:স্ব রমজান আলীর স্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে থানা রোডের লালবার পুত্র জুনাইদ আহম্মেদ সবুজ (৩০), মজনু’র পুত্র সৈকত (১৭), সজিব (৩০), মানিক এর পুত্র নাজমুল (৩০), ভাসানী রোডের বুদ্দু’র পুত্র স্বপন (৪০), আনছার এর পুত্র আশিক (২৮), আপেল (৩৫) এসে আমার স্বামীর দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। জানের মায়ায় আমার স্বামী, সন্তান নিয়ে বাহিরে বের হয়ে যায়। আগুনে দোকানঘর পুড়ে বসতবাড়ির ৩টি রুম, বারান্দায় আগুন ধরে যায়। আমাদের জীবনের সকল উপার্জন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার স্বামী, সন্তান ও আমার গায়ের কাপড়চোপর ছাড়া আর কিছুই নেই।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, ওসি স্যার ছুটিতে আছে। ছুটি শেষে আজকে স্যার আসবে, আসলে মামলা এন্ট্রি হবে।
এএস//