কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, সাজিদের মৃত্যুতে তোমাদের মতো আমিও সমভাবে ব্যথিত। সাজিদের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য এবং সেই কারণের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) প্রথম দাবিটাই যথেষ্ট।
সাজিদের মৃত্যুর কারণ যদি এই তদন্ত কমিটি বের করতে না পারে তাহলে এটি সিআইডি দ্বারা তদন্ত করা হবে। পিআইবি দ্বারা তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। আমরা এই ঘটনার শেষ দেখতে চাই। এই ঘটনাকে বর্তমান প্রশাসন কোনভাবেই ধামাচাপা দিতে চায় না। এই নিশ্চয়তা তোমাদের দিচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি অবগত হওয়ার পরপরই রুটিন ভিসি ও প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগের ডিআইজি আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে ভিসেরা রিপোর্ট কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের কাছে তদন্ত রিপোর্ট এবং ভিসেরা রিপোর্ট আসলে খুব দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
দুপুর ২ টায় সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে অগ্রগতি জানাতে ব্রিফিং করেন তদন্ত কমিটি-সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন ও আল কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, তদন্ত কাজে আমরা কাজ করেই যাচ্ছি। এমনকি ছুটির দিনেও করে যাব। অনেক তথ্য হাতে এসেছে। তবে তথ্যগুলো পুনরায় ক্রস চেকিং করে আগামী রোববারে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো। বাস্তবতা হলো আমাদেরটা তদন্ত কমিটি না, বরং এটা ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। যা মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা বের করাই আমাদের কাজ। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজন বোধে অধিকতর তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা ঘটার পরপরই সাজিদের পরিবার জিডি দায়ের করেছে। যেহেতু মৃত্যুর রহস্য স্পষ্ট হয়নি, তাই মামলার জটিলতা রয়েছে। একই বিষয়ে দু'বার মামলা করা যায় না। তবে পুলিশি মামলায় সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আর শিক্ষার্থীরা বাদী বা বিবাদী। নিরপেক্ষতা ও আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
আ. দৈ./কাশেম