ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং নারায়ণগঞ্জের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের প্রভাবশালী সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন লাক মিয়া। প্রায় অর্ধশত ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের সুনিদিষ্ট অভিযোগের মামলায় কারাবন্দি এই আসামিকে ৪দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান লাক মিয়াকে আরো জিজ্ঞাসাবদ করা হবে।
গতকাল/ আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে তাকে কারাগার থেে বেরকরে এনে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অভিযুক্ত লাক মিয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা ভিন্ন পন্থায় স্থানান্তর, রূপান্তর এবং হস্তান্তরের অভিযোগে অনুসন্ধান ও তদন্ত চলমান রয়েছে। গত মার্চে লাক মিয়ার নামে মামলা করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘লাক মিয়া সম্পদের যে হিসাব দিয়েছেন, তা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অঘোষিত সম্পদের তথ্য মিলেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত তার পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত তার বিরুদ্ধে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে লাক মিয়ার সম্পদের বিশাল পরিমাণ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ, অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এবং দালালি চক্রের মাধ্যমে তিনি এ বিপুল সম্পদের মালিক হন।
আ. দৈ./কাশেম