রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অবঃ) চেয়ারম্যান বলেছেন, "সংবাদকর্মীরা সুষ্ঠু প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজউকের বিভিন্ন দিক প্রকাশ করে রাজউককে আরও ভালো ভাবে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন। যে কোন বিষয়ে সাংবাদিকবৃন্দের মতামতকে রাজউকের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী গণ সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেন।"
তিনি আরও বলেন, " রাজউক সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ঢাকার মতো ঘনবসতি পূর্ণ শহরে বহুতল ভবন নির্মাণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে বড় জায়গা নিয়ে অত্যাধুনিক কার পার্কিং সহ ১০০ তালা ভবনের অনুমোদন দিবে রাজউক।" এ সময় ইউডিজেএফবির সদস্যরা রাজউক কে একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত বিরতিতে সাংবাদিকদের সাথে রাজউকের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ওয়ার্কশপ আয়োজনের সুপারিশ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ রাজধানী) রাজকের সভাকক্ষে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের (ইউডিজেএফবি) সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে করেন রাজউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় আরও অভিমত ব্যক্ত করেন রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আলম মোস্তফা, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহা. হারুন-অর-রশিদ, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম, প্রধান স্থপতি মোস্তাক আহমেদ, ইউডিজেএফবির সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সাবেক সহ সভাপতি মো. আবুল কাশেম, সাবেক সহ সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমনসহ সংগঠনের সদস্যরা। আজকের মতবিনিময় সভায় ইউডিজেএফবির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ইউডিজেএফবির সদস্যরা রাজউক সম্পর্কে তাদের মতামত এবং প্রত্যাশা প্রকাশ করেন। রাজউকের বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে তারা উপস্থিত রাজউক প্রতিনিধিদের কাছে তাদের জিজ্ঞাসা তুলে ধরেন। এ সময় রাজউক এর কর্মকর্তাবৃন্দ রাজউক আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্পর্কে রাজউকের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা ঢাকা মহানগরীর উন্নয়নে রাজউককে কীভাবে আরও গতিশীল ও কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। তারা আশা ব্যক্ত করেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে রাজউক তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে সেবা প্রদান করে যাবে।