নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয় ছয়ফুল ইসলাম। ভুক্তভোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও পাচ্ছেন না কোনো প্রতিকার। তাই ঘর উচ্ছেদের দাবীতে কিশোরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুশরত পানিয়াল পুকুর বাঁশবাড়ি এলাকায়। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে।
সূত্রে জানা গেছে, মুশরত পানিয়ালপুকুর মৌজার এস.এ- ২২ এবং ৩৮২ খতিয়ানের সাবেক ২০৩৭,২০৩৮,২০৩৯ এবং ২০৪০ হাল ৩৫৫৮ ও ৩৫৬০ দাগে মোট ৩৯ শতাংশ জমি ১৩ মে ৬৭সাল হতে ২ মে ৯১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন এস. এ মালিকের নিকট হতে পর্যায়ক্রমে ক্রয় করেন মৃত জহুর আলী । ১৯৯১ সালের পর জমিটি ডিপি ৬৫৪ নং খতিয়ানে তার একক নামে রেকর্ডপ্রাপ্ত হন এবং ভোগ-দখল করে আসছেন। জহুরের মৃত্যুর পর মালিক হন তার ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাহান আলী, জয়নুল আবেদীন, জাকির হোসেন ও এক মেয়ে জাহানুর বেগম।পরবর্তীতে এস. এ আসানতুল্যার নিকট হতে দুইটি দলিলে ৪ শতাংশ জমি ছয়ফুল ক্রয় করে রেকর্ড করেছেন বলে দাবী করেন। এ নিয়ে আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা চলমান রয়েছে।
পরবর্তীতে ছয়ফুল ইসলাম ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করলে জাহাঙ্গীর আদালতের নিষেধাজ্ঞা চায়। আদালত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু ছয়ফুল আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আদালতের আদেশ অমান্য করায় ছয়ফুলকে কারণ দর্শানেরা জন্য একটি নোটিশও পাঠানো হয়।
মৃত জহুরের ছেলে জাকির বলেন, জমিটি আমার বাবা ক্রয় করেন। তার নামে রেকর্ডও আছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। জমিটিতে বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার বাবার নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তির ধারাবাহিকতা সঠিক আছে এবং বিবাদির প্রস্তুতকৃত রেকর্ড কোন আপত্তি/আপীল মোকদ্দমা ছাড়াই হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। এরপর ৬৫৪ খতিয়ানে ছয়ফুল ইসলামের পিতা আসমতুল্যার নাম ও অংশ কর্তন হয় ও আনুষাঙ্গিক সংশোধন করে আদেশ তামিলসহ আনুষাঙ্গিক সংশোধনের জন্য কিশোরগঞ্জ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে নির্দেশ দেন।
বিরোধপূর্ণ জমিতে গেলে ছয়ফুলকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী রেখা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই সম্পত্তি আমার স্বামী পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বসত বাড়ি করে আছি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের বাইরে আছি। এইমূহুর্তে মনে পরছে না । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবে, বর্তমান অবস্থা কি?
আ. দৈ/ মোঃ হারুন উর রশিদ/ সাম্য