রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫,
৬ মাঘ ১৪৩১
ই-পেপার

রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
সারাদেশ
ত্রিপুরা পাড়ায় পুড়েছে ১৭ ঘর, বাসিন্দারা ছিলেন বড়দিনের উৎসবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Wednesday, 25 December, 2024, 7:30 PM  (ভিজিট : 26)

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি পাড়ার বাসিন্দারা বড়দিনের উৎসব পালন করতে বাড়ির বাইরে থাকাকালীন সময়ে আগুনে তাদের ১৭টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওর্য়াডে নতুন বেতছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লামা থানার ওসি এনামূল হক ভূঞা।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, বড়দিন উপলক্ষে গতকাল  রাতে পাশের টংগ্যাঝিরি পাড়ায় অনুষ্ঠান চলছিল। বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা সবাই সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আগুনে বেতছড়া পাড়ার ১৯টি ঘরের মধ্যে ১৭টিই পুড়ে গেছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, পাড়ার সব ঘরবাড়ি বাঁশ ও শনের তৈরি। টংগ্যাঝিরি থেকে বেতছড়া পাড়ায় আসতে আধাঘণ্টার মত সময় লাগে। আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে সবাই এসে দেখে, ১৭টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা অজারাং ত্রিপুরা বলেন, মঙ্গলবার রাতে বড়দিনের উৎসবে যোগ দিতে তারা সবাই টংগ্যাঝিরি পাড়ায় যান। প্রার্থনা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা নিজেদের পাড়ায় আগুন জ্বলতে দেখেন। ঘটনার সময় তাদের পাড়ার বাসিন্দারা কেউ বাড়িতে ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে পাড়া ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল। তাই বিভিন্ন শঙ্কা থেকে পাড়ায় কাউকে রেখে যাওয়া হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, পাড়ার অনেক ঘর লাগোয়া হলেও কিছু ঘর খানিকটা দূরে ছড়িয়ে-ছিটিয়েও আছে। নিজে থেকে সেসব ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই। তবে কারা হুমকি দিচ্ছিল জানতে চাইলে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি তিনি।

টংগ্যাঝিরির বাসিন্দা জনি ত্রিপুরা বলেন, বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দারা সবাই আমাদের বড়দিনের উৎসবে এসে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল। আগুন লাগার সময় পাড়ায় কেউ ছিল না। যার কারণে এটা দুর্ঘটনা নাকি কারও লাগিয়ে দেয়া স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে এই পাড়ার ভূমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের লোকজন তাদের কেনা জায়গা বলে দাবি করে আসছিল। যার কারণে এটা এএসপি জায়গা হিসেবে পরিচিত রয়েছে।

টংঙ্গ্যাঝিরি আরেক বাসিন্দা গনেশ ত্রিপুরা বলেন, তাদের মাত্র দুটি ঘর অক্ষত আছে। ক্ষতিগ্রস্তরা আপাতত আমাদের পাড়ায় এসে (টংঙ্গ্যাঝিরি পাড়ায়) আশ্রয় নেবে। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ইউনিয়নের পরিষদের পক্ষ থেকে কম্বল, শুকনা খাবার ও দুই বস্তা চাল দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে লামা ইউএনওর দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে ৩৪টি কম্বল এবং শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের সহায়তা দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে বলেছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে লিখিত আকারে দিতে। সেখানে বেনজির আহমদের নামে কোনো জমির মালিকানা নেই। তবে যার নামেই থাকুক, জায়গা নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে অভিযোগ দিতে বলেছি।

রূপায়ন দেব বলেন, এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো-কোনো গ্রুপ থেকে চাঁদা আদায়ের কথাও বলছিল, সবকিছু মিলে তারা লিখিত আকারে অভিযোগ দিক। এখানে জোর করে জমি কেড়ে নেয়ার বা চাঁদা আদায়ের সুযোগ নেই।

লামা থানার ওসি এনামূল হক ভূঞা বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা কিছু অভিযোগের কথা বলেছেন, সেগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে।

আ. দৈ/ সাম্য 
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

থানায় বসে এসআইয়ের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
‘ঋণখেলাপিরা যাতে বিএনপির মনোনয়ন না পায় সে চেষ্টা করব’
কক্সবাজারের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টী পরিমল শর্মার সংবর্ধনা
ফরিদপুরে শহীদ জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
বাংলাদেশে বায়ু দুষণের বছরে ১,০২,৪৫৬ জনের মৃত্যু
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতারা গন সংযোগে ব্যস্ত
দুদকের মামলায় বিএফআইইউয়ের মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার
চায়না পোশাকে সয়লাব দেশ
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন যারা
ডিবি হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ডা. সাবরিনা
সারাদেশ- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝