এই ছবিটি গত ১৭ জুন বৃষ্টির পর মিরপুর বেগম রোকেয়া সরনি থেকে তোলা
পতীত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ঢাকার দৃুই সিটির ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১০ মাসেও কাঙ্খিত মানের অগ্রগতি হয়নি। তবে ঢাকা উত্তর সিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছাড়া বেশ কয়টি এলাকায় জলাবদ্ধতা কম। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটেতে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে নগর ভবনে তালা ঝুঁলছে। যারফলে চলমান বর্ষা মৌসুমে একটুভারী বৃষ্টির ভাসছে ঢাকা শহর, ময়লা পানিতে হাবু ডুবু খাচ্ছেন নগরবাসী।
নগরীর অধিকাংশ এলাকাতেই ভারী বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের ময়লা পানি একাকার হয়ে যায়। নগরীর বড় বড় রাস্তায়ও বৃষ্টির পানিতে ঢেউ খেলে। রাস্তা ও গলিপথ হাটু থেকে কোমড় পানির নিচে তলিয়ে যায়। একই সাথে দুই সিটিতেই নিম্মাঞ্চলে বৃষ্টির সাথে ময়লা পানিতে লোকজনের বাসা বাড়ি, দোকান পাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তা ও গলিপথে বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তবে ঢাকা দুই সিটিতে বৃষ্টির পানিতে নগরীর ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নতুন নয়। এই জলাবদ্ধতার নিরসনের জন্য প্রতিবছর বাজেটেই কয়েক শত কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়। সুযোগ মতো বরাদ্দ করা অর্থ যথারীতি খরচও করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুুমে ভারী বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতা আর কমে না, উল্টো বেড়েই চলছে। আর এই জলাবদ্ধতার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরনো গদবাধা বক্তব্য ‘আপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা নগরীতে ড্রেন, স্যুয়ারেজ লাইন তৈরি করা হয়নি। বাসা বাড়ির সব ময়লা পানি সরাসরি ড্রেনে সংযোগ রয়েছে। আরো বলা হয়, সরকারি বড় বড় খাল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা। এসব উচ্ছেদ করে খাল পুনরুদ্ধার ও খনন করতে হবে।
অতীতে ঢাকা দুই সিটির মেয়রই সরকারি ভরাট হওয়া খাল উদ্ধার এবং পরিস্কারের নামে অভিযান শুরু করে ছিলেন। এই কাজে মোটা অংকের অর্থও ব্যায় করেছেন। তবে কিছু দিন পর ওই খাল আবার অবৈধ দখলে চলে যায় এবং আর্বজনায় ভরাট হয়ে যায়। জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় মনিটরিং টিম গঠন করা হয় এবং গণমাধ্যমকে নানা কল্পকাহিনীসহ উদ্যোাগ গ্রহণের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করা হয়। কিন্তু নগরবাসীকে ভোগিয়ে একটা সময় পর বৃষ্টির পানি নেমে যায়, এরপর জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের গৃহিত উদ্যোগ বাস্তবায়নের কর্মসূচিও থেমে যায়।
এই ছবিটি আজ ১৮ জুন, বধবার দুপুরে ঢাকায় বৃষ্টির পর তোলা
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাথে সাথে ঢাকার দুই মেয়রের পতন হয়েছে। পরে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকা দুই সিটিতেই দুইজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। শুরুতে ঢাকার দুই সিটিতেই জলাবদ্ধতা নিরসন, নগরীতে নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হয়ে ধীর গতিতেই চলছিল। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের নানা দাবি এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে চলমান কার্যকমে অনেকটাই স্থবিরতা দেখা দেয়। বেশ কিছু দিন যাবৎ ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগর ভবনে অফিস করছেন না। সিন্ডিকেট নির্ভর প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আগারঁগাও নিজের বাসায় বসে ডিএনসিসির কাজ করেন। জরুরি নথিপত্র তার বাসায় নিয়ে গেলে তিনি সই করেন বলে জানা যায়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা :
অপর দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে প্রশাসক মো. শাজাহান মিয়াও নগর ভবনে অফিস করতে পারছেন না। কাওরান বাজার ঢাকা ওয়াসার ভবনে বসে ডিএসসিসির সিমীত কিছু কাজ করছেন বলে জানা যায়। কারণ ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র পদে বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত ১৪ মে থেকে চলছে অসহযোগ আন্দোলন। ঢাকা বাসীর ব্যানারে বিএনপির নেতা-কর্মী এবং ডিএসসিসির কিছু কর্মচারী ইশারাকের সমর্থনে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে ৬৫টি তালা ঝুলিঁয়ে দিয়েছেন। ওইদিন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা নিরসন,মশা মারা, নাগরিকদের জম্ম-মৃত্যূ সনদ ইস্যুসহ সব ধারণের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে গত দুইদিন যাবৎ মশা মারার কথা বলা হলেও বাস্তবে মশা মারার কাজেরও গতিনেই।
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি তো কল্পনাই করা যায় না। যারফলে চলমান ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকা দক্ষিণের অধিকাংশ এলাকাই ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকই প্রশ্ন তোলেছেন, ইশরাক হোসেন মেয়র হবেন ভালো কথা, নগরবাসীকে জিম্মি করে কেনো। নগর ভবনে তালা মেরেছেন এবং পুরো নগরবাসীকে বৃষ্টির ময়লা পানিতে ডুবিয়ে কষ্ট দিচ্ছেন,এটা তো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ না। ‘বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ হলো,ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে সরকারি সংস্থা ও দেশ বড়।’
ছবি টি- গত বছর ২৭ মে.দুপুরের ঢাকা দক্ষিণ সিটির সায়েদাবাদ এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতার, এখন আরো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছেন দক্ষিণের নিম্মাঞ্চলের লোকজন,
সরে জমিন খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বর্ষা মৌষমে নগরীর ভয়াবহ জলাবদ্ধার পেছনে রয়েছে ভারী বৃষ্টির পানি দ্রুত সরার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। নগরীর ড্রেনগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে রয়েছে। ফলে ডেন্রের পানি দ্রুত সরতে পারে না। এছাড়া ড্রেনের পানি সরে যাবে কোথায়, পুরনো বড় বড় খালগুলো প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে এবং ভরাট করে গড়ে তোলেছে অনেক স্থাপনা। ড্রেনের পানি যাচ্ছে রাস্তায় আর রাস্তার পানির যাচ্ছে নগবাসীর বাসা বাড়ি, দোকান পাটসহ নিম্মাঞ্চলে। যদি বৃষ্টির পানি দ্রুত ড্রেন হয়ে খালে এবং খাল থেকে নিকটবর্তী নদীতে কিংবা বড় বড় জলাশয়ে যাবার সুযোগ থাকতো, তাহলে এই নগরীতে জলাবদ্ধতা থাকতো না।
সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস খাল উদ্ধারের নামে অনেক মহড়া দিয়েছেন। তিনি বলতেন ‘খাল দখলের সময় খেয়াল থাকে। জলাশয় আইন অনুযায়ী দখল হওয়া খালের জায়গা উদ্ধার করতে গেলে মানুষের কান্নার রোল পড়ে যাবে। লাঠিপেটা বা তদারকি করে দুর্নীতিমুক্ত হওয়া যায় না। একজন নাগরিক হিসেবে যদি দুর্নীতিমুক্ত হতে না পারি, তাহলে কিছুই হবে না।’ ত্রিমোহনী খাল উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার উদ্ধার করা কয়েকটি খাল আবার প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। ঢাকা দক্ষিনের ৩৯টি খালের মধ্যে ১৫টিই রয়েছে ডেমরায় ডিএনডি এলাকায়।
এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এই খালগুলোও ডিএসসিসিকে হস্তান্তরের করা হয়নি। ঢাকার বড় একটি অংশের বৃষ্টির পানি মান্ডা, জিরানী, শ্যামপুর ও কালুনগর খাল হয়ে নিষ্কাশন হয়। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালগুলো আসলে বাস্তবে নেই। আছে কাগজে-কলমে। এসব খাল উদ্ধারে ৮৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। প্রকল্পের কাজ কোথাও কোথাও শুরুও হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আগে কর্মকর্তারা বলতেন, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ১৮টি খাল বুঝে নেওয়ার পর মাত্র চারটি খাল নিয়ে পরিকল্পনা করে এগিয়েছে সংস্থাটি। ডিএসসিসি নর্দমা ও খালের সঙ্গে নদীর সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি প্রয়োজনের আলোকে মাস্টার ড্রেন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেটা পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রাথমিকভাবে নিউ মার্কেট থেকে পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তর প্রাঙ্গণের ভেতর দিয়ে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল, বংশাল এলাকা দিয়ে বুড়িগঙ্গা, জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় মাস্টার ড্রেন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বর্তমানে নগরভবনে তালা ঝুঁলছে। ফলে সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি জলাবদ্ধতা:
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসকের মুখপাত্র মো. জোবায়ের হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকৌশল ও বর্জ্য ব্যজস্থাপনা বিভাগ যৌর্থভাবে গত ৩ জুন ১০ টি আঞ্চলেই কার্যক্রম শুরু করেছেন।চিহ্নিত এলাকাগুলো হচ্ছে;- নিকেতন, তিাতসপাড়া, সাতাকুল, এলাহী বক্স রোড, নাখালপাড়া, রানাভোলা, প্রগতিস্মনি. মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, ভাষানটেক, তারার টেক, খায়ের টেক, ভাটুলিয়া, সোনাঁরগাও জনপথ,আহালিয়া মাঠ, পাকুরিয়া প্রধান সড়ক, দলিপাড়া, খিলখেত বেপারীপাড়া, কালশী রোড, বেগম রোকেয়া সরনি, মিরপুর রোড প্রভৃতি। এই কাজে প্রকৌশল বিভাগের ৮২ জন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৫০৭ জন সহ মোট ৫০৭ জন শ্রমিক কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করার কথা রয়েছে।
তিনি আরো জানান,গত ১৭ জুন অতিবৃষ্টিতে ঢকার জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরিস্থিতিতে নতুন করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, ডিএনসিসিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হলে, তাৎক্ষণিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা যৌর্থভাবে তদারকির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যক্রম শুরু করবেন।
ওই দিনের বদ্ধতা সম্পন্ন এলাকাগুলো হচ্ছে; বেগম রোকেয়া সরনি, মিরপুর ১০ নম্বর, মিরপুর ৬ নম্বর ,মিরপুর দারুস সালাম রোড, মিরপুর কালশী রোড, মেরুল বাড্ডা ডিআইট প্রকল্প, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা, ৫৩ নং- ওয়ার্ড তারারর টেক, ৫৪ নং ওয়ার্ড ভাটারা প্রধান সড়ক ও ফাসের টেক ।
এই ছবিটি - গত ১৭ জুন বৃষ্টির পর ঢাকা উত্তর সিটিতে পানি সরাতে কাজ করায় জলাবদ্ধতা হয়নি
ডিএনসিসির সূত্র মতে, ঢাকা উত্তর সিটিতে বর্তমানে প্রায় ৯০ কিলোমিটার ড্রেন পরিস্কারের কার্যক্রম চলছে। একই সাথে পাইপ ড্রেনও পরিস্কার করা হচ্ছে । প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১ কিলোমিটার ড্রেন ও বক্স কালভাট পরিস্কারে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী অর্থ বছরে ড্রেন, বক্কাস লভাট ও খাল পরিস্কারের জন্য প্রায় ৫শত কোটি টাকা , ফুটপাথ,ড্রেন উন্নয়নে ৪ শত কোটি টাকার বেশি এবং জরুরি উন্নয়নমূলক কাজে আরো প্রায় এক হাজার কোটি চাওয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে ঢাকার দুই সিটিকে পুরনো খাল হস্তান্তরের সময় উল্লেখ করা হয় রাজধানীতে মাত্র ২৬টি খাল রয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৯টি খালের সন্ধান পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ঢাকায় ছোট বড় মিলে মোট ৬৯টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আর দুই সিটি করপোরেশনের নর্দমা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার পর রুটিন মাফিক উচ্ছেদে কিছু অভিযান পরিচালনা করার কথা রয়েছে। তা ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে খাল-নর্দমা পরিষ্কার করা হলে ভাল হয়। তবে দুই মেয়র প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বাইরে নগরবাসীর দায়িত্বহীনতাকে অনেকটা দায়ী করা হয়।
সূত্র মতে, গত ৫ মার্চ পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এখানকার খালগুলো খননের বিকল্প নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আমাদেরকে ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এজন্য খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে। গত ৫ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটির ৬টি খালের খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬টি খাল খননের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আরো ১৩টিসহ মোট ১৯ খাল খননের কার্যক্রম এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
আ. দৈ./ কাশেম