ঢাকা উত্তর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাবউদ্দিন রাফেল সহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে গাইবন্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এ জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এলাকার কয়েকশ’ নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মহিমাগঞ্জ রাজনৈতিক থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ঈসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম খাজা একজন বর্ণচোরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। বিগত সংসদ নির্বাচনে তিনি পতিত আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট করেন। এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হোতা এই ব্যক্তি এখন বিএনপির নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্মে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন।
গত ঈদের রাতে মহিমাগঞ্জ বাজারের একটি চা দোকোনে বন্ধুদের সাথে চা পান করার সময় এই বাহিনীকে সাথে নিয়ে ঢাকা উত্তর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাবউদ্দিন রাফেল সহ কয়েকজনকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রচন্ড মারপিট করে। এ সময় রাফেলের স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। বর্তমানে তারা বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও খাজা বাহিনীর হুমকির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
গত ৯ জুন ১১ জনের নামোল্লেখসহ ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হলেও আজ পর্যন্ত চিহ্নিত আসামীদেও গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয় এই সম্মেলনে। তিনি বলেন, মামলা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাদের অদৃশ্য কোন কারণে গ্রেপ্তার করছে না। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানোর পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সেদিনের সন্ত্রাসী হামলার সিসিটিভি ফুটেজ ও খাজার অতীত কর্মকান্ডের বেশ কিছু আলোকচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক সাহাব উদ্দিন রাফেল, গোবিন্দগঞ্জ থানা কৃষকদলের সদস্য বুলবুল আহম্মেদ, মহিমাগঞ্জ রাজনৈতিক থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু মন্ডল, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শান্ত মন্ডল, সিনিয়র সহসভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব প্লাবন প্রমূখ।
আ. দৈ./কাশেম