বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫,
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
বিশেষ সংবাদ
কর্মচারীদের প্রতিবাদের মুখে বাসায় বসে অফিস করেন প্রশাসক
এজাজ-আরিফের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি সব কার্যক্রম
আবুল কাশেমঃ
Publish: Saturday, 24 May, 2025, 10:53 PM  (ভিজিট : 386)


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজজ ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এই সেবামূলক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।  অস্বভাবিক ক্ষমতাধর এই সিন্ডিকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অনিয়ম, নানা দুর্নীতি,ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে ডিএনসিসির ‘টপ টু বটম’ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।  ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। 

রাাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরিরের কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজজের এই সিন্ডিকের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের প্রতিবাদ  জানিয়েছে ডিএনসিসির কর্মচারীরা।ভয়ে গত ১৯ মে (সোমবার) থেকে বিতাড়িত হয়ে বাসায় বসে অফিস করে প্রশাসক মোহাম্মদ এজজ।

শুধু তাই নয়, গত ২০ মে বিকেলে নগর ভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নেতারা ডিএনসিসির প্রশাসকের অপসারণ এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।  একই সাথে ওইদিন নগর ভবন থেকে প্রশাসক এজাজের সিন্ডিকেটর অন্যতম সদস্য ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে বের করে দেন  সংক্ষব্ধ কর্মচারী নেতারা ।  এর দুই দিনপর কর্মচারী নেতাদের সাথে গোপনে আতাত করে পুনরায় নগর ভবনে  আসেন সচিব।  

আরো অভিযোগ রয়েছে ,প্রশাসক ‘মাহাম্মদ এজজ ও আরিফুর রহমানের’ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, দায়িত্ব প্রদান,বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়াও ডিএনসিসিতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার, বড় বড় ক্রয়, গাবতলী পশুর হাটসহ অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাটের ইজারা ।  তাদের পছন্দের বাইরের ভিন্ন মতের কর্মকর্তাদের ঘায়েল করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগির অপবাধ দিয়ে নাজেহাল করার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান. এনডিসি ‘আজকের দৈনিককে’ আলোচিত বিভিন্ন বিষয় প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ইচ্ছের বাইরে এখানে কিছুই হচ্ছে না।  বোর্ড সভায় তার পছনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আরো বলেন, সরকারের আইন বিধির  লঙ্খঘণ সংক্রান্ত বিষয় গুলো প্রশাসক স্যার কৌশলে এরিয়ে যান।  গাবতলী পশুর হাটের নতুন ইজারার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।  প্রশাসক  বেশ কয়দিন পর আজ শনিবার  (২৪ মে) নগর ভবনে এসেছেন। এর বেশি আর কোন কথা বলতে রাজি নয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।  

অপরদিকে প্রশাসকেরে সিন্ডিকেটর শক্তিশালী সদস্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সাথে আলোচিত অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চাইলে, তিনি তার স্টাফের মাধ্যমে জানিছেন, আজকের দৈনিককের সাথে কোন কথা বলবেন না।

তবে  নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির আখঁড়ায় পরিনত করেছেন।  ইতোমধ্যে সরকারের আইন ও বিধি অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মতো সব কিছু করে যাচ্ছেন।  এমনকি কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্ধারিত বোর্ড সভার সিন্ধান্তকেও আমলে নেয়া হয় না। 

 এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর সত্বেও  প্রশাসকের সিন্ডিকেটর স্বার্থ ও তাদের ইচ্ছাকে বোর্ডের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণকারীদের শায়েস্তা করতে দেওয়া হয় অপবাধ ।  ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ডিএনসিসি থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।  অবশেষে অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শক্ত হস্তক্ষেপের ফলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আর ডিএনসিসির বাইরে পাঠানোর অপচেষ্ট ব্যর্থ হয়ে যায়।  এই সিন্ডিকেটর কবলে পড়ে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়ীদের জন্য ই-ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর নামে এক তোঘলকি কান্ড ঘটিয়েছেন, যাচাই বাছাই ছাড়াই, ভুয়া ঠিকানায় শত শত ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে যাচ্ছে আবেদনকারীরা।  এমনকি নিষিদ্ধ এলাকায় এখন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু হচ্ছে। একই ভাবে নগরীতে নতুন কয়েক লাখ ভবন ও বাসা বাড়িতে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্যের বিষয়টি নিয়েও প্রশাসকের সিন্ডিকেট স্বনির্ধারণী ট্যাক্স ধার্য করার নির্দেশনা দিয়েছেন।  ভবন মালিকরা তথ্য গোপন করে যা ঘোষণা করবেন, তার উপর ওই মালিক নিজেই ইচ্ছে মতো ট্যাক্স প্ররিশোধ করার সুযোগ পাবেন।  কোন ধরনের যাচাই বাছাই প্রয়োজন হবে না। এরফলে ডিএনসিসি কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকার বৈধ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবার আকঙ্খা রয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের এই চলতি মৌষমে দৈনিক বিকেল ৩ টা থেকে পৌর কর মেলা আয়োজনের নামে তামাশা শুরু করেছেন।  প্রশাসকের সিন্ডিকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সারাদিনের  অফিসিয়াল ভাবে রাজস্ব আদায়কে চলমান মেলার আদায় হিসেবে দেখাতে হবে। কারণ এই মেলার নামে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।  আদায় বেশি না হলে নানা প্রশ্ন উঠবে।

কর্মকর্তারা আক্ষেপ করে  আরো বলেন, প্রশাসকের সিন্ডিকেট গোপন আতাতের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও নতুন ট্যাক্স নির্ধারণের ক্ষেত্রে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশেষ মহলকে অবৈধভাবে অতিমাত্রায় সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানে স্বার্থ বিরোধী ও সরকারী আইনের লঙ্ঘণ করেছেন।  প্রশাসক একযোগে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে সরকারের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘ্ণ করে এক অফিস আদেশ জারি করেছেন।  অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স আইনে উল্লেখ আছে, বাণিজ্যিক ভবনে বার্ষিক আয়ের ২৩ শতাংশ এবং আবাসিক ভবনে ১২ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য করতে হবে।  এই আইন ও বিধি মালায় ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।  নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে এই আইনেই গত ২০১৮ সাল  থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য ও আদায় করা হচ্ছ।  কিন্ত প্রশাসকের জারি করা আদেশে ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সব ভবনেই বার্ষিক আয়ের ওপর মাত্র ৭ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য করতে হবে।

শুধু তাই নয়, গত ২০১৮ সাল থেকেই বার্ষিক আয়ের ওপর মাত্র ৭ শতাংশ ট্যাক্স ধার্য করতে হবে।  এছাড়া আরো বেশ কিছু আজব আদেশ ও নির্দেশনা জারি করেছেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।  তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে তিনি ডিএনসিসির কি পরিমান ক্ষতি করেছেন।  এসব ক্ষতি সহসায় পুরন করার মতো নয়।  

এই আইন লঘঙ্খণ করে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের এরফলে আগামীতে নির্বাচিত মেয়র এবং তার প্রশাসন মারত্নক হুমকির মুখে পড়বেন।  এদিকে নগরবাসীর কাছ থেকে আইন মোতাবেক হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে।  অপর দিকে সরকারের আইনই অমান্য করার অপরাধে ফৌজদারি মামলার আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলেন, ডিএনসিসিকে ইতোমধ্যে কয়েক কয়েক শত কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করেছেন।  এরমধ্যে গাবতলী পশুর হাটের ইজারায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার স্থলে ২২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সবোর্চ্চ দরদাতাকে না দিয়ে খাস খালেকশনের নামে বহিরাগতদের নিয়ে লুটপাট করেছেন। এই বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকে হয়েছে অভিযান । এরপর সেনাবাহিনীর অভিযানের পরও গাবতলী পশুর হাটে অভিযানে ৪/৫ জনকে আটক করা হয়।  এরপরও প্রশাসকের সিন্ডিকেটের অপকর্ম থেমে নেই।

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ দাবি:
গত ২০ মে বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ দাবিতে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। বিক্ষোভে সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদে নেতা আব্দুর রহিম মাধ্যমকে বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদের যেমন জায়গা হয়নি, তেমনি জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না।  
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষ ও কোনো রাজনৈতিক দলের কথা না শুনে শুধু একটি দলের কথা শুনে দেশ পরিচালনা করছে। তারা দেশকে এনজিও প্রজাতন্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে। সরকার নির্বাচন বাদ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দিচ্ছে বলেও সমাবেশে অভিযোগ তোলা হয়।তারা বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। 

হিযবুত তাহরীর করার কারণে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগ করেছেন। আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে এজাজ সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে বিএনপিতে যোগদানের পায়তারা করছেন মোহাম্মদ এজাজ।

প্রশাসক এজাজ- আরিফ সিন্ডিকেটের বক্তব্য:
পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের।  গত ২১ মে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ মে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে মোবাইল ফোনে কল করেন।  অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তাকে আইনের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান ও বোঝানোর চেষ্টা করেন।  কিন্তু নুরুল হক তার কোনো কথা না শুনে তাকে কাজ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। 

একইসঙ্গে ডিএনসিসি অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশান-২ এর নগর ভবনের সামনে কিছু লোক নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ করে ডিএনসিসি। যাতে ডিএনসিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

ডিএনসিসির বক্তব্যের প্রতিবাদ গণ অধিকার পরিষদের:

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির মিথ্যা অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ” জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক  শাকিল উজ্জামানের পাঠানো এক  প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। “পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে নুরুল হক নূর।” ডিএনসিসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এমন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণ অধিকার পরিষদের নজরে এসেছে। মোহাম্মদ এজাজের হিযবুত তাহরীর ও জঙ্গিবাদের কার্যক্রমে যুক্ত থাকা ও একই অভিযোগে ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের  ফেসবুক পোস্টেও উঠে এসেছে। 

নুরুল হক নুরের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেয়ায় গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা উত্তর সিটির সামনে বিশৃঙ্খলা করেছে। যা একেবারে অসত্য, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্যকে কমিশন ব্যতীত কাজ না দেয়ার প্রেক্ষিতে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অবহিত করা হলে, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করতে বলেন। মুহাম্মদ এজাজের পরামর্শেই নুরুল হক নুর তাকে বিষয়টি তাকে জানান। 

ইতোপূর্বে গাবতলী পশুর হাটসহ কয়েকটি বিষয় গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে যে, কমিশন ও পছন্দের লোক ব্যতীত ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অন্য কাউকে কোন ধরণের কাজ প্রদান করে না। এমনকি গণ অধিকার পরিষদের গত ২০ মে বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য নিজের মামাসহ বেশ কয়েকজনকে পাঠিয়ে আর্থিক অফারের মাধ্যমে সমঝোতা করতে চেয়েছে। নিজেও গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের অসংখ্যবার কল করেছে। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ কর্মসূচি স্থগিত করেনি।

আ. দৈ./ কাশেম
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে সংসদ: সালাহউদ্দিন
এ জন্মে আমার নাম থেকে শুভশ্রীকে সরাতে পারব না: দেব
সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগ মিস করলে কয়েক দশকেও আর পাওয়া যাবে না: আসিফ নজরুল
আমরা এমন জাতি, নিজেদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারি: মির্জা ফখরুল
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

কমার্স ব্যাংকের এমডি মোশারফ হোসেনকে অপসারণ
দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত ওমর ফারুক এমডি হতে মরিয়া
সীমান্ত ব্যাংক এবং সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
পানির জন্য পল্লবীতে বিহারীদের সড়ক অবরোধ
বড় মেয়ের পালিয়ে বিয়ের জেরে, ছোট মেয়েকে ৪ বছর ঘরবন্দি করে রাখলেন বাবা
বিশেষ সংবাদ- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝