১৯৭০-৭৩ সালের নির্বাচনী এলাকার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত ছিল ঠিক সেইভাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি। আজ শনিবার (১৭ মে) সুপ্রিম কোর্টে এক অনুষ্ঠানে এ দাবী জানান সংগঠনিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ্ মো. খসরুজ্জামান। এ সময় সমিতির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সাহেদ আলী জিন্নাহসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় আইনজীবী সমিতি হচ্ছে দেশের সমগ্র বার অ্যাসোসিয়েশনসমূহের নির্দলীয় ফেডারেশন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাহ্ মো. খসরুজ্জামান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাবে নির্বাচনী এলাকার সীমানা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। নতুন সীমানা নির্ধারণ বাস্তবমুখী ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। যেন জাতির কাছে এ বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জরুরী ভিত্তিতে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের বিকল্প নেই। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, সংঘাতবিহীন নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীগণ যেন অংশ গ্রহণ করতে পারে এরকম ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবী। রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) প্রত্যেকে নির্বাচনী এলাকায় অঞ্চল ভিত্তিক একই মঞ্চে প্রার্থীদের পরিচিতি সভার আয়োজন করবেন। তিনি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পোষ্টার ও লিফলেট ছাপিয়ে টাঙ্গানো ও প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। খরচ সম্মিলিতভাবে প্রার্থীগণ বহন করবে। ফলে যোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এতে ভোটারগন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত হবেন। এরূপ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশকে আরও এগিয়ে নিতে পারবেন বলে জাতি বিশ্বাস করে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সংস্কার কমিশনে বৈজ্ঞানিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দাখিল করে জাতীয় আইনজীবী সমিতি। বৈজ্ঞানিক নির্বাচন পদ্ধতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, এটা অটুট রাখতে হবে। সংঘাতবিহীন প্রার্থীর স্বল্পখরচে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বৈজ্ঞানিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে।
এ পদ্ধতিতে নির্বাচনকালীন সময়ে সভা, মিছিল, পিকেটিং রহিত করে এর পরিবর্তে নির্বাচনি এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পরিচালনায় নির্বাচনি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে। যেখানে একই মঞ্চে সব প্রার্থী নির্বাচনি বক্তব্য দেবেন এবং নির্বাচনের খরচ প্রার্থীরা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে জমা করবেন। নির্বাচনি পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট সহকারী রিটার্নিং অফিসার ছাপিয়ে টাঙানোর ব্যবস্থা করবেন যার খরচ প্রার্থীরা বহন করবে।
আ. দৈ./ কাশেম