বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রায় ৬ কোটি টাকায় ৪ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সেগুনবাগিচায়স্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা রাজধানীর সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিসিএসআইআর’র কার্যালয়ে সরাসরি অভিযান পরিচালনা করেন। গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
তিনি জানান,অভিযানকালে ওই প্রতিষ্ঠানে টেন্ডার ডকুমেন্ট পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানকে কৌশলে কার্যাদেশ দেওয়ার অসাধু উদ্দেশ্যে বিশেষ শর্ত আরোপপূর্বক টেন্ডার স্পেসিফিকেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। যার ফলে টেকনিক্যাল ইভাল্যুয়েশনে মাত্র একটি করে টেন্ডারদাতা রেস্পন্সিভ হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা যাচাইয়ের নিমিত্ত রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গরূপে পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দুদক সূত্র মতে, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের কতিপয় দূর্নিতীবাজ, অসাধু বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী চক্র পরিকল্পিতভাবে বিসিএসআইআরে ৬ কোটি টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে সাজানো টেন্ডারের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার জন্য আগেই থেকেই সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এমন অভিযোগে তথ্য উপাত্ত হাতে পেয়েই দুদকের পক্ষ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদকে অভিযোগ রয়েছে, বিসিএসআইআর যা সাইন্স ল্যাবরেটরি নামে অধিক পরিচিত তা আজ কিছু দূর্নিতীবাজ ও অসাধু বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী চক্রের কারনে ডুবতে বসেছে। চলতি অর্থ-বছরে বিদেশী যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিকে টেন্ডারে দরপত্র আহবাণ করা হয়। বিস্তারিতর শর্তানুযায়ী গত ১৭ মার্চ দরপত্র ওপেন করা হয়। এরপর গত ০৭ এপ্রিল ১ম মূল্যাযন কমিটির সভা হয়। এরপর গত ১৬ এপ্রিল মূল্যাযনের সাব- কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল ২৩ এপ্রিল দরপত্র মূল্যাযন কমিটির চূড়ান্ত সভার আয়োজন করা হয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ, মূল্যাযন কমিটির চূড়ান্ত সভার আগেই গবেষণা সম্মনয়কারী ও মূল্যাযন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া, কমিটির আর এক প্রভাবশালী সদস্য ও ঢাকা গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো: হোসেন সোহরাব, ইনারস - এর পরিচালক ড. মো: সেলিম খান, এসএসও সত্যজিৎ রায় রনি, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো: বেনজরি আহমেদ ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন গং গোপনে এবং অবৈধভাবে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে নিম্নোক্ত ৪টি কোস্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ভাগ করে দিয়েছে। যার ফলে গতকাল ২৩ এপ্রিল মূল্যাযন কমিটির চূড়ান্ত সভা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ধানমন্ডির এ্যামব্রোসিয়া রেষ্টুরেন্টে গত ২৩ মার্চ বিজ্ঞানীদের ইফতারের নামে নিম্নোক্ত ৪টি কোস্পানী থেকে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম লেনদেন করা হয়েছে। সাজানো দরপত্রে মোট ৮টি কোস্পানী টেন্ডারে অংশগ্রহন করে (বিস্তারিত পত্র সংযুক্ত ০৪). কিন্ত গোপনে নিচের ৪টি কোস্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রযের ভাগ করে দিয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ড.মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া: রহু রছর আগে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় ভাঙিয়ে ৫ আগষ্টের পর ২০ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে গবেষণা সম্মনয়কারীর পদ রাগিয়ে নিযেছেন (সংযুক্ত প্রমানক ৫ সিনিয়রিটি লিষ্টে তার অবস্থাান), ড.মো: হোসেন সোহরাব: কোটি টাকার প্রজেক্টে ইতিমধ্যেই অডিট আপত্তি হয়েছে। ড.মো: সেলিম খান: প্রজেক্টে ১০ কোটি টাকার অডিট আপত্তি রয়েছে।
সত্যজিৎ রায় রনি: ফ্যাসিষ্টদের দোসর হিসেবে শেখ হাসিনার সাথে শাহবাগ ও চকবাজার থানা মামলা থ্কলেও : নুরুল হুদা ভূঁইয়া এবং হোসেন সোহরবের খুটির জোড়ে একনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে। মো: বেনজরি আহমেদ: নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতি থাকলেও এবং মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও দুদকের চিঠি গায়েব। কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন: অবৈধভাবে একাধিক পদোন্নতি নেওয়া মামুন সরকারী আইন ইপেক্ষা করে আদম ব্যারসা করে সেই টাকা দিয়ে বিসিএসআইআরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। দুদকের কর্মকর্তারা এসব অভিযোগে তথ্য প্রমাণাদিও পর্যালোচনা কওে অভিযুক্তদেও বিরুদ্ধে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর শুর হবে মামলার দায়েরের প্রক্রিয়া এবং আরো অধিকতর তদন্ত কার্যক্রম।
আ. দৈ./ কাশেম