রাজধানী ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টন কারখানার জুট ব্যবসা দখল নিয়ে জিয়া দেওয়ান ও মামুন নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। কারখানার সামনে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলি ছোড়েন জিয়া দেওয়ান। পরে পালিয়ে যান তিনি। ঘটনার ২ দিন পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির ।
এর আগে গতকাল ১৯ এপ্রিল বিকালে গাজীপুর জেলার পুবাইল থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিয়া দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জিয়া দেওয়ান(৪০) আশুলিয়ার জিরাব এলাকার আলী দেওয়ান নেওয়াজের ছেলে। এ সময় তার দেয়া তথ্য মতে সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় নিজ বাড়ির পাশের কবরস্থানের কলা গাছের নিচে পলিথিনের ভিতর কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ইউএসএ এর তৈরী বিদেশী পিস্তল এবং একটি ম্যাগাজিন ও একটি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ১৭ এপ্রিল আশুলিয়ার জিরাব এলাকার এসএএস প্যাকেজিং কারখানার ওয়েস্টেজ কার্টন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালান জিয়া দেওয়ান। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, মো. জিয়া দেওয়ান একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ১৭ এপ্রিল আশুলিয়ার জিরাবো ফুলবাগান এলাকায় কাটুন ফ্যাক্টরি এসএএস এর ওয়েস্টিজ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী জিয়া এবং মামুন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সন্ত্রাসী জিয়া দেওয়ান নিজের আধিপত্য জানান দিতে পিস্তল বের করে ২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। এর পর থেকে পুলিশ প্রশাসন সোচ্চার হয়। এবং সন্ত্রাসী জিয়া দেওয়ানকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতার ১৯ এপ্রিল বিকেলে গাজীপুর থেকে তাকে আটকের পর, তার দেয়া তথ্য মতে আশুলিয়ার জিরাবো থেকে মেড ইন ইউএসএর তৈরী বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও একটি খোসা উদ্ধার করা হয়।
সন্ত্রাসী জিয়া দেওয়ানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের পর ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
এসময় ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।