ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার সফল গণঅভূত্থানের স্বীকৃত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং দ্রুত স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে গত দুইদিন যাবৎ বিক্ষোভ করেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
দাবি আদায়ের আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) ‘জুলাই যোদ্ধারা’অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজপথ থেকে তারা ‘জুলাই নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘জুলাই সনদ দিতে হবে, দিতে হবে’সহ নানা স্লোগান দেন।
এদিকে অবরোধে শাহবাগ মোড় ও এর আশপাশের সব সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সমাবেশ চলছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া আবু হাসান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হবে, আমাদের কর্মসূচি চলবে।
আন্দোলকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে,জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি; শহীদ পরিবার ও আহতদের আজীবন সম্মান; চিকিৎসা, শিক্ষা ও কল্যাণের পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা; শহীদ পরিবার ও আহতদের প্রতি দায়িত্ব গ্রহণ করা; আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমূলক ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করা; আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য আজীবন সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করা; শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বিশেষ আইনি সুরক্ষা ও সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা; শহীদ ও আহতদের ওপর সংঘটিত দমন-পীড়নের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচারকাজ সম্পন্ন করা এবং একটি স্বাধীন সত্য ও ন্যায় কমিশন গঠন করা।
জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন বলেন, সরকার থেকে এ-সংক্রান্ত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দেশের ৬৪ জেলা থেকে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং জুলাই যোদ্ধারা আমরা যার যার খাবার-দাবার নিয়ে এসে এখানে বসেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসবে ততক্ষণ আমরা থাকব। অবরোধ চলাকালে রবিউল নামে এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুদিন পরপর সড়ক অবরোধ হয়। আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে।
আ. দৈ./কাশেম