কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছ। একই সাথে জুলাই-আগস্ট বিপ্লববিরোধী ভূমিকায় অবস্থানকারীদের চিহ্নিত করতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়োগে দুর্নীতি তদন্ত কমিটিকে এবং জুলাই বিপ্লব বিরোধী তদন্ত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক দুইটি অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক ও শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদারকে সদস্যসচিব করে বিগত ১৫ বছরে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ তদন্ত কমিটিতে অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী।
অপরদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে আল-হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের ভিন্ন এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম ও সদস্য সচিব হলেন বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদার।
জুলাই বিপ্লব বিরোধী তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “আগামী বুধবার সকল সদস্যদের নিয়ে প্রথম মিটিং-এ বসব। প্রত্যেকটা সংগঠন ও বিভাগকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাতে করে তদন্ত করতে সহজ হয়।”
দুর্নীতি অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, “২০০৯ সাল থেকে নিয়োগের অনুসন্ধানী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ দীর্ঘ দিনের অনিয়ম সামনে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আমরা সাংবাদিকদেরকেও আহ্বান করবো যাতে করে পুরোনো ফুটেজ সংগ্রহ করে সহযোগিতা করে।”
আ. দৈ./ কাশেম