রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫,
১ আষাঢ় ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
জাতীয়
জলবায়ু পরিবর্তনঃ
চিরচেনা ষড়ঋতুর ভারসাম্য ভেঙ্গেছে, আসছে তীব্র গরম
এমআই খান
Publish: Monday, 17 February, 2025, 12:18 PM  (ভিজিট : 155)
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বৈশ্বিক আবহাওয়া সম্পূর্ণ ওলট-পালট হয়ে গেছে। যার প্রভাবমুক্ত নয় বাংলাদেশও। শীতে থাকছে না শীত। আবার যখন শীত পড়ছে তখন ঠান্ডা পড়ছে জাঁকিয়ে। আবার গরমের সময় রাতে ঠান্ডা দিতে কাঠ পাঁটা রোড। সবই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব।  

জলবায়ুর পরিবর্তন-প্রাকৃতিক পরিবেশ, কৃষি, জনজীবন, অর্থনীতিসহ সামগ্রিক বিষয়গুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ফলে, শীতকাল বা মাঘ মাস জুড়ে হাঁড়কাপানো শীতের অনুভূতি দূরে থাক, বরং মাঘ মাস শেষ হওয়ার আগেই শীত শেষ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রচণ্ড গরম এবং তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এমতাবস্থায়, গত ২ বছরের মতো এবারও দীর্ঘ সময়জুড়ে গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকাল চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, বছরের অধিকাংশ সময়জুড়ে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি এবং তাপপ্রবাহের কারণে মানুষজন নাকাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গ্রীষ্মের মতোই গরম শুরু হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।  বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, মাঘ মাস শীতকালীন ঋতুর অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, পৌষ ও মাঘ—এই দুই মাসকে শীতকাল ধরা হয়। সবশেষ গত ৫-১০ বছর আগেও মাঘ মাসে ঘনঘন লম্বা শৈত্যপ্রবাহ, কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি এবং কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যেত। আর উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৫-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও নেমে আসত। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগের মতো সেই কনকনে শীত গত কয়েক বছরে অনুভূত হয় না। একইসঙ্গে শীতকালের পরিব্যাপ্তি ছোট হয়ে আসায় শীতের দিনগুলোও অনেকটা কমে গেছে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের খড়গে বাংলাদেশের চিরচেনা ষড়ঋতুর ভারসাম্য ভেঙে গেছে। আগে ছয়টি ঋতুর স্পষ্ট পার্থক্য ছিল। কিন্তু এখন গ্রীষ্ম ও বর্ষার দাপটে শীত যেমন ক্ষীণ হয়ে এসেছে, তেমনি শরৎ, হেমন্ত ও বসন্তকালও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বাৎসরিক প্রতিবেদনেও এমন চিত্র উঠে এসেছে।

২০২৪ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ১২ মাসের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় প্রতিটি মাসেই খুব কাছাকাছি ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মার্চ মাসে ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এপ্রিল মাসে ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মে মাসে ৩২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুন মাসে ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুলাই মাসে ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগস্ট মাসে ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেপ্টেম্বর মাসে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অক্টোবর মাসে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নভেম্বর মাসে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ডিসেম্বর মাসে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বছরের ৪টি মাস ছাড়া বাকি সবগুলো মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর ছিল।

আবার এর বিপরীতে আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বনিম্ন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হিসেবে জানুয়ারি মাসে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মার্চ মাসে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এপ্রিল মাসে ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মে মাসে ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুন মাসে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জুলাই মাসে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আগস্ট মাসে ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেপ্টেম্বর মাসে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অক্টোবর মাসে ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নভেম্বর মাসে ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ডিসেম্বর মাসে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এখানেও দেখা যাচ্ছে বছরের মাত্র ৩টি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে।

আবাহাওয়াবিদদের ধারণা, এবারের গ্রীষ্মেও গতবছরের মত চলতি বছরেও দাপট থাকবে গরম ও তাপপ্রবাহের।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা বলছে, ২০২৪ সাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২০২৪ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা সিথ্রিএস-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি, যা বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহের মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১০ জুলাই বিশ্বব্যাপী ৪৪ শতাংশ অঞ্চল চরম তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং ২২ জুলাই ছিল রেকর্ড করা ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ দিন। বাংলাদেশে গত বছরের এপ্রিল মাসে ২৬ দিনের তাপপ্রবাহের রেকর্ড ছিল। ওই সময় গরমে হিটস্ট্রোক করে প্রায় ১৫ জন মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। 

সে অনুযায়ী এবছরও অত্যধিক তাপমাত্রা এবং তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, বছরের শুরুতেই যার কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দিনের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি অনুভূত হয়েছে (সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দুটোই বেশি ছিল)। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের বেলায় বেশ গরমের অনুভূতি হয়েছে।

জলবায়ুর পরিবর্তন কৃষি উৎপাদন, জীববৈচিত্র্য, মানুষের জীবনযাত্রা—সবকিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একসময় যে ছয়টি ঋতু একে অপরের পরিপূরক ছিল, সেটি এখন ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। এর প্রভাবে কখনো বেশি বৃষ্টি, কখনো অতিরিক্ত গরম, আবার কখনো দীর্ঘ খরার প্রকোপ বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে

বর্তমান অবস্থা এবং বৈশ্বিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৫ সালে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম পড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই বছরের জানুয়ারি মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ঠিক কোন সময় বেড়ে যাবে, এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলা যাচ্ছে, এই বছরের গ্রীষ্মকাল বেশ পাকাপোক্ত থাকবে।  অন্যদিকে তাপপ্রবাহের ধরনও বদলেছে। সাধারণত আগে তাপপ্রবাহ মার্চ মাসে শুরু হতো, কিন্তু গত বছর এপ্রিল মাসে শুরু হয়েছে। যেমন দেরিতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, তেমন দীর্ঘ সময় এটি অবস্থান করেছে। আর এই মাসে (ফেব্রুয়ারি) প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই ভোর-সকালবেলা কিছুটা শীতের অনুভূতি থাকলেও ৯টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। তখন আবার দিন বড় হয়ে যাবে। ফলে গরমের অনুভূতিও বেশি থাকবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং কার্বন নিঃসরণ সামগ্রিকভাবে একটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের ।

চলতি বছর গ্রীষম্ম দাবড়ে বেড়াবে সুদীর্ঘ তাপদাহ আর কালবৈশাখী তাণ্ডব ।

এদিকে গত ৭ বছর ধরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়ে গড়ে পরিমাণ ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। 

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত বছর (২০২৪ সালে) এসে দাঁড়ায় ৩৬.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়ায় ৩৭.৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশ থেকে ষড়ঋতুর শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত পর্যায়ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত বছর তীব্র তাপপ্রবাহের সময় পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অনেক পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন সরকারও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

পাশাপাশি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণনে সূরে্যর নৈকট্য ও সূর্যপৃষ্ঠে পারমানবিক বিষ্ফোরণের কারণে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রার প্রভাব ও বাড়াচ্ছে পৃথিবীর উষ্ণতা  এমনটাই মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। 
এমআই
   বিষয়:  জলবায়ু    পরিবর্তন   ষড়ঋতু   ভারসাম্য   ভেঙ্গেছ   তীব্র   গরম   তাপপ্রবাহ  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

২৪০০ আসনের বিপরীতে আবেদন ৬০ হাজারেরও বেশি
ঢাকা উত্তরের কৃষকদল নেতা রাফেলসহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬৯ জন হাসপাতালে
বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন
সোমবার থেকে টানা ৩ দিন অতি ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

আগতাড়াইল মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
ঢাকা উত্তরের কৃষকদল নেতা রাফেলসহ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
‘আমার বুড়ো বাপকেও তুই ছাড়িসনি’ বলে আওয়ামী লীগ নেতাকে গণধোলাই
ডিএনসিসির উত্তরায় দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এখনো পড়ে রয়েছে
বিমান বিধ্বস্তে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যুবক
জাতীয়- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝