জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের চলমান বৈঠকে জাতীয় সনদ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছেন, তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা চেষ্টা করছি এসব বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে এবং আগামীকালের মধ্যেই আপনাদের অবহিত করতে পারব।’
বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শুরুর বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, ‘সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বসংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং এই বিষয়ে একটি লিখিত খসড়া অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কাছে তুলে দেওয়া হবে।’ তবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণসংক্রান্ত প্রস্তাব আলাদাভাবে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, বলে জানান তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে সব দল মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের নীতিগত অবস্থানে একমত হয়েছেন। তবে সংবিধানে এই বিষয়ে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে কিছু ভিন্নমত রয়ে গেছে।’
তিনি জানান, এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির দেওয়া সুপারিশ ও আপত্তিগুলো স্পষ্টভাবে কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে এবং তা আলোচনাকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের মধ্যে আমরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার একটি তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেব। আশা করছি আগামীকাল আমরা একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ সব দলের কাছে তুলে দিতে পারব।’
আলোচনার গতি বাড়াতে দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘যেমনটি আপনারা শুরু থেকেই করে আসছেন, তেমন সহযোগিতার ধারাবাহিকতা আমরা আশা করছি।’
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তাব এখনো প্রস্তুত না হলেও বাকি বিষয়গুলোতে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা চলছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।