গ্রামীণ জীবনের নানান দৃশ্য, শহুরে কংক্রিটের স্থাপনাসহ বিভিন্ন উপাদান নিয়ে বেড়ে ওঠে আমাদের চারপাশের পরিবেশ। চতুর্দিকে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনাকে ফ্রেমবন্দী করে রাখা অনেকের নেশা। শতবছর পরও ফ্রেমবন্দী ছবিগুলো হৃদয়ে তুলে আলোড়ন। আবেগে ভেসে যায় মন। অতীতের এমন আবেগ আর ভালোবাসার মিশেলে তৈরি সৃষ্টিকর্মকে ভবিষ্যত ও বর্তমানে মন ভরে উপলব্ধি করার অন্যতম মাধ্যমগুলোর একটি ফটোগ্রাফি।
প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বাংলা জনপদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা মিলেছে এমনই একজন ছবিওয়ালার। ছবিওয়ালা ববিয়ান নামেই তাকে চেনে সবাই। পুরো নাম, ইয়াসিন সরকার রুদ্র। শুধু যে তিনি ক্যাম্পাসেই ফটোগ্রাফি করেন তা কিন্তু নয়। রাজপথ থেকে শুরু করে কুয়াশা ভেজা মেঠোপথ উঠে আসে তার ক্যামেরার স্মৃতিতে। দেশের নদী নালা,প্রকৃতি ও জনমানুষের ব্যস্ত জীবন তার ক্যামেরায় তোলা ছবির একমাত্র উপকরণ। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস থেকে পেয়েছেন সম্মাননাও। এছাড়া সম্প্রতি তার তোলা ছবিগুলো বেশ সাড়া ফেলেছে ক্যাম্পাসসহ পুরো ফটোগ্রাফি অঙ্গণে।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে 'রুদ্রের স্মৃতি কথন' নামে রয়েছে তার একটি জনপ্রিয় পেজ।
ছবিওয়ালা ববিয়ান খ্যাত রুদ্রর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার ফটোগ্রাফির সূচনা হয় ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে অধ্যয়নকালে। অনিন্দ্য সুন্দর ছবি তুলতো তার খুব কাছের বন্ধু ইশতিয়াক শ্রাবণ। তখন রুদ্র তার বন্ধু শ্রাবণের কাছে ভালো ছবি কিভাবে তুলতে হয় সেটি জানতে চান। বন্ধু তাকে বলে, ছবি তুলতে হবে নিজের মন থেকে। তাহলেই ছবি সুন্দর হবে। তুলতে তুলতে শিখে যাবি'। এরপর থেকে নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমের জোরে রুদ্র হয়ে ওঠেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সেরা একজন ছবিওয়ালা। তার এই প্রতিভাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ও বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা সব-সময় দিয়ে যাচ্ছে অনুপ্রেরণা।
রুদ্র বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন শিক্ষার্থীদের সদ্য নামকরন করা বিজয় ২৪ হলের ৫০০৫ নম্বর রুমে ।পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোটো। আবুল হাসেম সরকার ও আজমীনা খাতুন দম্পতির এই স্বপ্নবাজ সন্তানের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার কেরানীগঞ্জের রায়েরচর গ্রামে।
ছবিওয়ালা রুদ্রর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ফটো জার্নালিস্ট হওয়া। যেটা আমার পড়াশোনার বিষয়ের সঙ্গে যায়। তিনি জানান, ফটোগ্রাফি তার নেশায় পরিনত হয়েছে।
এমআই