অমর একুশে বইমেলার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে কোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করা হলে ‘যথাসময়ে বইমেলা আয়োজন সম্ভব না’ বলে মনে করছে মেলা পরিচালনা কমিটি। বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছেন মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
আগামীকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অংশে ‘যুব কনভেনশন’ হওয়ার কথা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুব সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর আয়োজক। উদ্যানের যে অংশে বইমেলার নির্মাণ কাজ চলছিল, গত সোমবার সন্ধ্যার পর সেখানে এসে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের পরিচয় দেয়া একদল ব্যক্তি। তারা সম্মেলনের জন্য উদ্যান ব্যবহারের অনুমোদন নেয়ার কথা বলেন। এরপর কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। বিষয়টি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানায় মেলা পরিচালনা কমিটি।
চিঠিতে মোহাম্মদ আজম বলেন, বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আয়োজনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পহেলা জানুয়ারি থেকে তেসরা মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছে। বইমেলার প্রস্তুতি, বিশেষত স্টল নির্মাণের কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তর একই সময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অন্যান্য সমাবেশ ও কার্যক্রম আয়োজনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছে। এতে বইমেলা হুমকির মুখে পড়েছে। একই সময়ে অন্য কোনো সমাবেশ উদ্যানে হলে বইমেলা আয়োজন করা অসম্ভব।
এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বইমেলার জন্য বরাদ্দ স্থানে অন্য কোনো সভা সমাবেশের অনুমতি থাকলে তা বাতিল করার কথা বলেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক।
সম্মেলন আগামীকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, আমরা তো দুই মাস ধরে এখানে সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে আমাদের সম্মেলন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সম্মেলনটি অন্যত্র আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনটি নাও হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
আ. দৈ/ সাম্য