রংপুরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত এবং হিমেল হাওয়ার কারণে বেড়েই চলেছে শীতের দাপট। সারা দেশের মতো রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলজুড়ে শীতের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। আর এই শীত নিবারণে অনেকেই খড়খুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছেন। সেই আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে দগ্ধ হবার ঘটনাও। যার কারণে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জফুলা বেগম আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার শরীরের চল্লিশ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর তিন দিন আগে নীলফামারীর পলাশী এলাকা থেকে সালমা নামে এক নারী ভর্তি আছেন বার্ন ইউনিটে। প্রতিদিনই এ ধরনের দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গত এক সপ্তাহে আগুন পোহাতে গিয়ে ৫ নারী দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আরও দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ১৪টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে আগুনে পোড়া রোগীর সংখ্যা ৪৬ জন। তাদের অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । এরমধ্যে গত এক সপ্তাহে শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ৫ নারী ভর্তি হয়েছেন।
এ বিষয়ে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক শাহিন শাহ্ বলেন, এবারের শীতে পাঁচ নারী দগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আরও দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এসময় তিনি বলেন, প্রতিবছরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ এবং নিহতের সংখ্যা বাড়ছে এ জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি। সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। এজন্য তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৪ ডিসেম্বরের পর থেকে তাপমাত্রা আরও কমবে। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ না হলেও তাপমাত্রা আরও কমবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান।
আ. দৈ/ আফরোজা