কক্সবাজারে টেকনাফের সাগর উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে অবস্থানকালে ৮ বাংলাদেশি, ১২ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার এবং ৩ দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরের এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আটককৃত দালালরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী লুনা বেগম (৩৬) ও একই এলাকার মো: ইউনুছের ছেলে মো: রিদুয়ান (১৯) এবং সাবরাং ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো: আব্দুল্লাহ (২১)।ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাসহ লোকজন জড়ো করার খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।
এতে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে ৫-৬ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক দালাল ও উদ্ধার হওয়াদের স্বীকারোক্তির বরাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি সাগরপথে মানবপাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রটি তৎপর হয়ে উঠেছে। আটক দালালরাসহ চক্রটির সদস্যরা উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করেছিল। গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা এবং উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আ. দৈনিক / কাশেম/বিজন কুমার