শারজায় বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে নারী টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর।
যে বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হবার কথা ছিল তা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় মূলত এই আসরের আয়োজন বাংলাদেশের মাটি থেকে সরে যায়। প্রথমে এ তালিকায় ভারতের নাম আসলেও শেষমেশ তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরব আমিরাতেই।
এবারের আসরের বড় দুটি চমকও রয়েছে। প্রথমটি প্রাইজমানিতে, অন্যটি প্রযুক্ততিতে।
বর্তমান অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আগের বিশ্বকাপের তুলনায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে মোট প্রাইজমানি। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো।
অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বিশেষভাবে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে স্মার্ট রিপ্লে প্রযুক্তি। এজন্য প্রতি ম্যাচে থাকবে ২৮ ক্যামেরা।
এছাড়া এবারে দ্বিতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপের গোটা আম্পায়ারিং প্যানেল সাজানো হয়েছে নারীদের নিয়েই। এবার দুবাই এবং শারজাহর দুই স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের ২৩টি ম্যাচ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ ‘বি’ তে বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং স্কটল্যান্ড।
আগামী শনিবার ইংলিশদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলার মেয়েরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্বাগতিকরাই কাপ নিজেদের ঘরে রেখে দেয়। ২০১০ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজে ও ২০১২ তে শ্রীলংকায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বকাপের।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক বাংলাদেশের সুযোগ মেলে এ বিশ্বকাপে খেলার। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত শেষ পাঁচটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে তেমন কোন শক্ত ভিত বিশ্বকাপে না গড়তে পারলেও নারী বিশ্বকাপে বরাবরের মতো দাপট দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। ২০১৬ বাদে ১৮,২০,২৩ বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আছে অজি নারীরাই।
আগামী ২০ অক্টোবর রাতে দুবাইয়ের মাঠে গ্রান্ড ফাইনালের মাধ্যমে পর্দা নামবে এবারের আসরের।
আ.দৈ/এআর/এমএমএস