ঢাকার একটি আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দলীয় কার্যক্রমে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন। এতোদিন আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি।
আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম জেলা জজ রোবায়েত ফেরদৌস প্রত্যাহারের এই আদেশ দেন। মামলার বাদী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এ আদেশ দেন আদালত।
জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১২ আগস্ট বাদীর আবেদন দাখিল করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক রোবায়েত ফেরদৌস আজ বুধবার মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান। গত ৩০ জুলাই মামলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম- তা মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জিএম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল করে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সাতজনকে, পরে আরও তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় গত ১০ জুলাই মুজিবুল হক চুন্নু, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আ. দৈ./কাশেম