বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদের জায়গায় গণতন্ত্রের সূচনা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরআগে শেখ মুজবুর রহমানের কায়েম করা একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র এনেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাত হয়েছে তবে এখন তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ–মাহফিলে এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল, তাদের ক্ষমতায় আসতে আবার বহু বছর লেগেছে। মুসলিম লীগ আসতে পারেনি, আওয়ামী লীগের লেগেছিল ২১ বছর। আর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি মাত্র ৯ বছরে আবার ক্ষমতায় এসেছিল। এই অর্জনের মূল কান্ডারি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সামরিক স্বৈরশাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস তার হাত ধরেই রচিত হয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।
ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন বলে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়ার হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বহু মানুষ ছেড়ে গেছে। কিন্তু দারুণ দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন খালেদা জিয়া। সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে গণতন্ত্রের এনেছিলেন তিনি। ফ্যাসিবাদের জায়গায় গণতন্ত্রের সূচনা করবেন তারেক রহমান। তারা সেই শুভ দিনের প্রতীক্ষায় আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যখন মানুষ সমালোচনা করত, তখনো জন্মদিন উদ্যাপনে উৎসাহ দেননি খালেদা জিয়া। কখনো খালেদা জিয়া জন্মদিন উদ্যাপন করা বা দাওয়াত দেওয়ার মতো কিছু করেননি। তারা নিজেরা সেটা করেছেন। খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।
কারাগারে খালেদা জিয়ার ওপর অত্যাচার, নিপীড়নের জন্য দায়ীদের প্রত্যেকের বিচারের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা দেখেছি কারাগারে কারা কারা তাকে নির্যাতিত, নিপীড়ন করেছেন। সর্বশেষ যখন তার সঙ্গে দেখা হয়, তখন ওই কারাগার একবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। একটা পরিত্যক্ত এলাকায় পরিণত হয়েছিল। সেখানে খালেদা জিয়ার ঘরের মধ্যে ইঁদুর ও পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করত।’
বিএনপির আয়োজনে এই দোয়া ও মিলাদ– মাহফিল সঞ্চালনা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্যসচিব আবুল হোসেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিশেষ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
আ. দৈ./কাশেম