ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে গত দু’দিন তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমতে শুরু করেছে পানি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করে। যার কারণে বানে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো থেকেও নামতে শুরু করেছে পানি।
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৬টায় ২০ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৩টা থেকে ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ( ১৪ আগস্ট) তিস্তা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল তিস্তার পানি। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী,খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি, জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রামসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি উঠে। তলিয়ে যায় বিস্তুীর্ণ এলাকার রোপা আমনসহ উঠতি ফসলের ক্ষেত।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, গত দু’দিন যে ভাবে হু হু করে পানি বাড়তে শুরু করেছিল তাতে আমরা চরম আতংকে ছিলাম। তিস্তার বন্যায় যেসব এলাকার বাড়ীঘরে পানি উঠেছিল। আল্লাহর রহমতে শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।অন্যত্র আশ্রয় নেয়া মানুষজন বাড়ীতে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই সাথে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো থেকে পানি নামছে।
আ. দৈ./কাশেম