আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থানাগুলোতে দায়িত্ব পালন করা সব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এর শীর্ষ নেতা খান তালাত মাহমুদ রাফি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি তোলেন।সম্প্রতি পটিয়া থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বিরূপ আচরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
সংবাদ সম্মেলনে খান রাফি বলেন, “পুলিশ বাহিনীর ভেতরে এখনই রূঢ় ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ আমলে যারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে বরখাস্ত করতে হবে এবং তারা যারা অপব্যবহার করেছে ক্ষমতা, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গত এক দশকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পুলিশ বাহিনীর একটি অংশ সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রদের দমন করতে ব্যবহার হয়েছে, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইর হাসান আরও বলেন, পটিয়া থানার সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ছাত্রদের প্রতি তার আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
এছাড়া, চট্টগ্রামের বর্তমান পুলিশ সুপারকে অপসারণের দাবি জানানো হয় এবং স্পষ্ট করে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনো থানায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ কিংবা ছাত্রলীগের চিহ্নিত কেউ থাকলে—তাদের বিরুদ্ধে শর্তহীনভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
আন্দোলনকারীরা জানান, পুলিশকে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এখনই কার্যকর সিদ্ধান্ত দরকার। অন্যথায় তারা দেশব্যাপী আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।