জুন পর্যন্ত ৯ লাখ সাত হাজার ৬৬২টি এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে হয়রানি আর থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। আজ (বুধবার, ২ জুলাই) সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এদিকে দুপুরে ইউএনডিপির মাধ্যমে দ্য ব্যালট প্রকল্পে নির্বাচন কমিশনকে চার দশমিক আট মিলিয়ন ইউএস ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে ভোগান্তি বেশ পুরোনো। নিজের নাম, বাবা মায়ের নাম, ঠিকানা কিংবা জন্ম তারিখের ভুল সংশোধন করতে সংশোধনের প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রতা যেন স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হয়রানি কমাতে বছরের শুরুতে নির্বাচন কমিশন ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়। যেখানে জুন পর্যন্ত এই প্রোগ্রামের আওতায় এনআইডি সংশোধনের নয় লাখ সাত হাজার ৬৬২টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগে যেখানে মোট আবেদন ছিল মোট আবেদন জমা পড়েছে নয় লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬। গত ছয় মাসেই শুধু আবেদন পড়েছে ছয় লাখ পাঁচ হাজারের বেশি। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৬৯৪।
বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সচিব ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান, আগামী তিন মাসে এনআইডি সংশোধন নিষ্পত্তি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। সংশোধন নিয়ে যে হয়রানি ছিল তা আর থাকবে না।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয় যে, ভোগান্তির মাত্রাটা কমেছে। আমরা গড়ে এক লাখের উপরে আবেদন পেতাম। সেটা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজারের কাছাকাছি। তার মানে এই ৬ মাসে ২০ হাজার আবেদনের সংখ্যা কমানো গেছে। আমার ধারণা আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা কমে শূন্য হবে না, কিন্তু সংখ্যাগত অবস্থায় একটা জায়গায় দাঁড়াবে যে আমরা বলতে পারবো ঠিক আছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, অনেক রাজনীতিবিদের এনআইডি লক করা হয়েছে। তবে কাদের এবং কতজনের লক করা হয়েছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। তার নিজের এনআইডি লক করার কথাও জানান তিনি।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘লক থাকতে পারে। আমার জানামতে আমার এনআইডিও নাকি লক করা আছে। বিভিন্ন কারণে করা হয়, মিসইউজ যেন না হয়। আমি যাচাই করতে যাইনি কারণ আমার এটা প্রয়োজন হয়নি। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমার মনে হয় তথ্য না নেয়াটাই ভালো।’
এদিন দুপুরে নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য ইউএনডিপির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে চার দশমিক আট মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান, হয়েছে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি হলেন স্টেফান লিলার ও জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান অবাধ ও সবার অংশগ্রহণের নির্বাচনে বিশ্বাস করে জাপান। জাপানের এই সহযোগিতা এমন নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।