চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেত্রী এ্যানি চৌধুরীকে লাথি মেরে বহিষ্কৃত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সিবগাতুল্লাহ ওরফে আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি ৷ সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ার প্রতিবাদে গত বুধবার বিকেলে কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। কর্মসূচি শুরুর পরপর সেখানে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ ব্যানারে মিছিল নিয়ে আসে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় মিছিলের লোকজন ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১২ জন আহত হন।
এ হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে আটক দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে। এতে বলা হয়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস ও রাস্তায় যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন।
হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে এক নারীসহ দুজনকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। যে ব্যক্তিকে লাথি মারতে দেখা গেছে, তাঁর নাম আকাশ চৌধুরী। তিনি ছাত্রশিবিরের কর্মী। আর যে নারীকে লাথি মারা হয়েছে, তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটভুক্ত সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এ্যানি চৌধুরী।
চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশচট্টগ্রামে নারীকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া ‘শিবিরের লোক’ আকাশ চৌধুরীকে ধরছে না পুলিশ
১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেসক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা-কর্মীরা। সেখানে একজন পুলিশ সদস্যকেও দেখা গেছে। ওই ব্যক্তি পুলিশের চোখ এড়িয়ে নেতা-কর্মীদের পেছনে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ একজনকে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে আবার আরেক নারীকে লাথি মারেন।
গত ৩০ মে রাতে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারার ঘটনায় আকাশ চৌধুরী নামের একজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।