যেখানে আমানত সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। সেখানে জনতা ব্যাংক ৫ মাসে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি আমানত সংগ্রহ করেছে। এলসি পেমেন্ট বিশাল একটি গ্যাপ ছিল। প্রায় ১ হাজার মিলিয়ন। বর্তমানে তার প্রায় পুরোটাই পরিশোধ করা হয়েছে। মাত্র ২৩ মিলিয়ন বকেয়া রয়েছে। এর দ্বারা জনতা ব্যাংকের বড় ধরনের সক্ষমতার জানান দেয়া হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষ দিকে আমানতের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ কোটি টাকার একটু বেশি। এখন আমানত বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যোগদানের পর থেকেই ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা আগে চেয়ে অনেকটাই মজবুদ করতে সক্ষম হয়েছি। । গ্রাহকের আস্থা ফিরাতে কাজ করছি। ফলে কয়েক মাসেই আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঋণ আদায়েও আমরা মনোযোগী। বিশেষ করে বড় ঋণের বিষয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে তিনবার বৈঠক হয়েছে। ঋন আদায়ের ক্ষেত্রে যতগুরো টুলস আছে, যেমনÑ যেখানে সুদ মওকুফের সুযোগ আছে, সেখানে সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। কিছু আবার ওয়ান টাইম এক্সিটের সুযোগ রয়েছে তার সবই ব্যবহার করছি। ২০২৪ সালে সারা বছরে ৪৭ কোটি টাকা ক্যাশ রিকভার ছিল, এ বছর এ পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ মাসেই প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্যাশ রিকভারি হয়েছে। রেমিট্যান্সে আমরা বরাবরই এগিয়ে ছিলাম। গত বছরে সব ব্যাংকের মধ্যে আমরা তৃতীয় হয়েছি। আর সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও থাকবে মনে করি। কারণ এখনই আমাদের গ্রোথ অনেক বেশি। আমরা আশা করছি, গত বছরর তুলনায় এবারে দ্বিগুণ রেমিট্যান্স আহরণ করতে সক্ষম হবো।
তিনি বলেন, এই ব্যাংকে যোগদানের পরে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার করে ডিপোজিটরদের দিতে হয়েছে। সেখানে ২৪ মে পর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট হয়েছে। সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট বেশি এসেছে। যোগদানের পরে প্রতিদিন মনে হতো আমার সিআরআর, এসএলআর কম হবে। ত্রাহি ত্রাহি পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। বড় আমানতের পাশাপাশি ক্ষুদ্র আমানত সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়। আমি দেখলাম ক্ষুদ্র আমানত সংগ্রহ করতে হলে পুরো মাঠকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এজন্য ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছি। তাদেরকে পার্সোনাল টার্গেট দিয়েছি। সুতরাং সব শ্রেণীর কর্মকর্তারা তাদের প্রমোশনের জন্য মাঠে নেমে গেছে। সম্মিলিতভাবে মাঠে নামার কারণে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার আমানত বেশি সংগ্রহ হয়েছে।
তিনি আরো বলন, রিকভারির ক্ষেত্রে আমারা বিভিন্ন ধরনের কমিটি করেছি। টাক্সফোর্সের মিটিংয়ে থাকছি। এছাড়া যতগুলো টুলস আছে যথাযথ নিয়ম মেনেই তা করছি। এককথায় বলা যায় আমার ব্যাংকের বর্তমান টিমের একাগ্রতা আর শ্রমই আমাকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার পুরো টিমকে উজ্জীবিত করতে পেরেছি এবং আমার একটি গোল আছে চেয়ারম্যান মহোদয় সব ধরনের সহযোগিতা করে গেছেন। সে কারণেই এত বৈরি পরিবেশের মধ্যেও আমরা নতুন নতুন পণ্য এনেছি। সুতরাং আমার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের সকল সর্মকর্তা, কর্মচারি-সবার অবদান রয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের তিন পণ্য বাজারে আাছে, আরো দুটি পণ্য পাইপলাইেনে আছে।
র/আ