বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে শিক্ষার্থীরা।১ দফা দাবির প্রেক্ষিতে গত ১২ মে রাত ১০ টা থেকে অনশন শুরু করেন তারা। ভিসি ড. শুচিতা শরমিন পদত্যাগের আন্দোলনের ২৮ তম দিনে এই কর্মসূচি হাতে নেন তারা। প্রথমে ৪ দফা তার পরে ১ দফা সর্বশেষ অনশনে ঘোষণা দেন। এছাড়াও আজ ১৩ মে মঙ্গলবার আল্টিমেটাম অনুযায়ী দক্ষিণ বঙ্গ অচলের হুশিয়ারি দেন ববি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ লরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়িয়েছেন শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকরতারা।শিক্ষকদের পক্ষ হতে জানানো হয় “আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত।ফ্যাসিষ্ট ভিসিকে অতিদ্রুত সরাতে সরকারের সুনজর কামনা করি।ইতিমধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।ঢাকা -পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধের আগেই ভিসি ড.শুচিতা শরমিনের অপসারণ চাই।উনার কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন বলেন”যতক্ষন পর্যন্ত দাবি না আদায় হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চলমান থাকবে।আমরা চাই সরকার অনশনরত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ভিসি ড.শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ নিশ্চিত করুক।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এই স্বৈরাচার ভিসিকে চায় না।
অনশনরত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান বলেন,” শুচিতা শরমিন ভিসি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েন।যতক্ষন না পর্যন্ত ভিসিকে অপসারণ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশনে থাকবো।মৃত্যু হলেও আমরা ভিসির পদত্যাগ ছাড়া অণশন ছাড়বো না।
কবে নাগাদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজর দিবেন তা এখন দেখার বিষয়। শিক্ষার্থীরা জানান ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অনশনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও নীতিনির্ধারণী জায়গা থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। আজ গতকাল দুপুর ২ টা নাগাদ অনশনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাদেরকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
আ. দৈ./কাশেম