জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চায়— এমন কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় জাতীয় পার্টি। তিনি বলেন, “আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করেছিল, তখনও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।”
শনিবার (১০ মে) জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জিএম কাদের বলেন, “যদি গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে, তাহলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় গণহত্যার জন্য দায়ী সংগঠনগুলোর বিষয়েও প্রশ্ন উঠবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা ঘটেছিল সেই সময়।”
তিনি আরও দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, “রংপুরে আমাদের দুই নেতা শহীদ হয়েছেন, চারজন কারাবরণ করেছেন। অথচ এখন সেই আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা অস্বীকার করা হচ্ছে। এমনকি ছাত্র হত্যার মামলায় অন্যায়ভাবে আমাদের আসামি করা হচ্ছে।”
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “২০১৪ সালে আমি নিজে নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, তখন আমি মন্ত্রী ছিলাম। পরেও আমাকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়, আমি প্রত্যাখ্যান করি। ২০১৮ সালে বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তাহলে কি তারা আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেয়নি? ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমাদের দলকে ভাঙনের মুখে ফেলে, চাপে ফেলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি বেআইনি কিছু করে থাকি, তাহলে সেটা জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে বিচার করবে। জনগণের রায়ই শ্রেষ্ঠ বিচার।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্স, সদস্য সচিব মো. আরিফ আলীসহ পার্টির সিনিয়র নেতারা ও ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় নেতারা।