জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এবং দলটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের ওপর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। একইসঙ্গে দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া ১০ জন নেতার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পদ ফিরে পাওয়া নেতারা হলেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, দফতর সম্পাদক-২ এম.এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), নাজমা আক্তার (ফেনী), মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) ও আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বারী জানান, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জিএম কাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। পাশাপাশি ১০ নেতার বহিষ্কার আদেশও স্থগিত রাখা হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়, মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১০ নেতাকে বহিষ্কার করা সাংগঠনিক গঠনতন্ত্রের ২০(১)(ক) ধারার পরিপন্থী। তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জিএম কাদের ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি এবং দলীয় গঠনতন্ত্রের ওই ধারার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোকাদ্দমার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর তিনি একটি অবৈধ কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন দলীয় ওয়েবসাইট থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ মোট ১০ জন নেতার নাম মুছে ফেলা হয় এবং তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়, যা এখন আদালত স্থগিত করেছে।