জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো জায়গায় করিডর দেওয়ার আগে বাংলাদেশের জনগণের রায় লাগবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করছে, তাদের রায় লাগবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর বারআউলিয়ার মাজারের ওরস শরিফ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সারজিস আলম এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। এর আগে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক জায়গায় দেখেছি করিডরের নাম করে বিদেশি এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দেশে ঢুকেছে। নানা কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই সুযোগ আমরা আমাদের বাংলাদেশে হতে দেব না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার একা নিতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আপসহীন থাকে।’
এ সময় সারজিস ভারত–পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তার পাশেই পাকিস্তান। এই দুটি দেশে যদি এ রকম যুদ্ধের একটা পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে যায়, সবচেয়ে বেশি তৃতীয় দেশ হিসেবে ভুক্তভোগী হবে বাংলাদেশ। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কখনো প্রত্যাশা করি না যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দুটি দেশে যুদ্ধ লাগুক। হামলাটা কিন্তু প্রথম ভারত করেছে।’
সারজিস বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক ঘটনা দেখেছি, নিজেরা প্ল্যান করে ঘটনা ঘটানো হয়। পরে দায় চাপানো হয় অন্যের ওপর। কোনো একটা নির্দিষ্ট দেশে যখন ফ্যাসিস্ট সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়, তখন তারা এ রকম যুদ্ধের মতো বিভিন্ন পরিস্থিতি ঘটানোর, তৈরি করার চেষ্টা করে।’
সারজিস আরও বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আর এই মিথ্যে মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতা এসব মামলা করছেন। কিছু পুলিশও তাঁদের সহযোগিতা করছে। আমরা চাই, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে, দৃশ্যমান শাস্তি হবে।
কিন্তু আমরা কখনো এটা চাই না, একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। একটি চক্র লিস্ট সাজিয়ে তাদের ফোন দেয়। নাম না দেওয়ার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছে। আমরা সোজা কথায় বলতে চাই, এর দায়ভার অন্তর্বর্তী সরকার, আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে।’