রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন, মতিঝিল এলাকায় রাজউক এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় ১১ একর নিজস্ব জমি র্দীঘদিন যাবৎ অবৈধ দখলে রয়েছে। ওইসব জমিতে পরিকল্পিতভাবে জলাধার, পার্ক ও শিশুদের খেলার মাঠসহ বিভিন্ন সেবামূলক স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক আগেই মতিঝিল এলাকায় উক্ত ১১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে রাজউক। অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজউকের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। ফলে দ্রুত ওইসব স্থাপনা অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ মে) মতিঝিল এলাকায় রাজউক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মালিকানাধীন জলাধার, পার্ক ও শিশুদের খেলার মাঠসহ বিভিন্ন সেবামূলক স্থাপনা নির্মাণ-শীর্ষক প্রকল্পের জমিতে অবৈধ স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন কালে রাজউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাঃ হারুন-অর-রশীদ, প্রধান নগর স্থপতি মোশতাক আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক সহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা যার মধ্যে রয়েছে সরকারি বেশ কিছু ভবন। পার্ক নির্মাণের নিমিত্তে জায়গা দখলমুক্ত করার পূর্বে অবৈধ স্থাপনাসমূহ ঘুরে দেখেন। অধিগ্রহণকৃত জায়গার বড় অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু গাড়ির গ্যারেজ। যা একইসাথে পরিবেশ দূষণেরও কারণ হিসেবে প্রকট হয়ে উঠেছে। উক্ত গ্যারেজসমূহ পরিদর্শন করে রাজউক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবিলম্বে তা উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অধিগ্রহণকৃত জায়গার উপর মতিঝিল রাজস্ব সার্কেরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের ভবনটি বিনা অনুমতিতেই নির্মাণ করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজউক থেকে জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে উল্লিখিত জায়গা থেকে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় অন্যত্র প্রতিস্থাপিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। রাজউক
তিনি বলেন, অধিগ্রহনকৃত জায়গা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে ওই জমি ব্যবহার বন্ধের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান একটি পুলিশ ব্যারাক ঘুরে দেখেন এবং এটিও অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ মতিঝিল এলাকায় এত বড় জায়গা নিয়ে প্রস্তাবিত পার্কটি গড়ে তুলতে পারলে তা সমগ্র ঢাকাবাসীর জন্য একটি স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠবে। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি তা পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং দর্শনার্থী সহ নিয়মিত ভ্রমণকারীদের জন্যও একটি প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।’
আ. দৈ. /কাশেম