ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, 'গাবতলি টার্মিনালে আন্তজেলা বাস প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা নির্মাণ করা হবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের সকল আন্তজেলা বাস বিআরটিএ'র ডিপোতে প্রবেশ এবং ডিপো থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এই রাস্তা ব্যবহার করবে।
আন্তজেলা বাসের যাতায়াতের জন্য এটি হবে ডেডিকেটেড রাস্তা। আন্তজেলা বাস আমিনবাজার ব্রিজ হয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে আর ডিপোতে প্রবেশ করবে না এবং ডিপো থেকে বের হবে না। এর ফলে গাবতলি টার্মিনালকেন্দ্রিক শৃঙ্খলা ফিরবে। যানজট ব্যাপকভাবে কমে যাবে।'
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর গাবতলি টার্মিনালের বিআরটিএ ডিপো পরিদর্শন শেষে এ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন। বিআরটিএ ডিপো পরিদর্শন ও সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসীন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ সরওয়ার, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল- ৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক সার্কেল) নাঈম রায়হান খান প্রমুখ।
এসময় তিনি বলেন, 'সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি, বিআরটিএ, ডিএমপি সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। গাবতলি টার্মিনালের বাহিরে কোন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। এছাড়া টার্মিনালের বাহিরে কোন পরিবহনের টিকেট কাউন্টার থাকবে না। আন্তজেলা যাতায়াতের সব কাজ হবে টার্মিনালের ভিতরে৷'
এসময় তিনি জানিয়েছেন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১৩ পর্যন্ত প্রধান সড়কে ট্র্যাপার বসানো হবে। এছাড়াও যেসব ওয়ার্কসপে অবৈধ অটোরিকশা বানানো ও মেরামত হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেসব ওয়ার্কসপ বন্ধ করে দেওয়া হবে।'
আ. দৈ. /কাশেম