ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) বিভিন্ন অঞ্চলে সড়কের ওপর ময়লা ফেলে রাখা,সময় মতো ময়লা আর্বজনা অপসারণ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা এবং বর্জ্যব্যবস্থাপানা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনসহ নানাবিধ অনিয়মের গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গণমাধ্যমকে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে আরো জানান, আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনসহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন। পরে ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অভিযানকারী দুদক কর্মকর্তারা ‘নগরীর উত্তরা এবং উত্তরখান এলাকায়’ সড়কের ওপর ময়লা আর্বজনা অপসারণ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্ট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। দুদক কর্মকর্তারা ওইসব এলাকায় পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। এরপর ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলেন এবং বক্তব্য গ্রহণ করেন। অভিযানে থাকা দুদক কর্মকর্তারা ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে আরো জানান, দুদক টিমের কর্মকর্তারা প্রাথমিক পর্যালোচনায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে,এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। এছাড়াও দুদক কর্মকর্তারা আরো বিভিন্ন বিষয়ে গুরুতর অভিযোগের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রাপ্ত এসবরেকডপত্র নিয়ে এসছেন। এসব রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুনিদিষ্ট কিছু সুপারিশমালাসহ এনফোর্সমেন্ট টিমের কর্মকর্তা বিস্তারিত প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপকের দপ্তরে দাখিল করবেন বলে জানান।
এদিকে অভিযান সংশ্লিষ্ট দুদকের জনৈক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। আজকের অভিযানে কি ধরনের রের্কডপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং অন্যান্য কি ধরেনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। জবাবে দুদকের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এনফোর্সমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপকের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযান চালান।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনেক বড় সংস্থা। এর কাজ যেমন অনেক বেশি, অভিযোগও তেমন অনেক বেশি। আগামীতে দপ্তর অনুযায়ী প্রয়োজনে আরো বেশ কয়টি অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
আ. দৈ./ কাশেম