বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের পক্ষ থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি’র (প্রশাসন) সাথে সাক্ষাৎ করেন। দুদক কর্মকর্তারা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জনবল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনায় জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম পরীলক্ষিত হয়। এছাড়াও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম। ওই প্রকল্পের অর্থায়নে ১৫৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ শেষে অত্র প্রতিষ্ঠানে অন্তত ০৫ বছর চাকরি করবেন এরূপ শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষে ৮৫ জন কর্মকর্তা হাসপাতালে যোগদান করেননি। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট নন এমন বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে প্রেরণ করা হয় মর্মে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।
দুদক কর্মকর্তা আরো জানান. ওই প্রতিষ্টানের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনেই এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। ফলে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় সাধিত হয়। শুধু তাই নয়, ওই হাসপাতালের অভ্যন্তরে বিদ্যমান ১টি ব্যাংক, একটি ফার্মেসি ও ২টি ক্যান্টিন পরিচালনায় অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্যসমূহ বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণপূর্বক কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
আ. দৈ. /কাশেম